দেশ পরিচিতি
আজারবাইজানের সরকারি নাম রিপাবলিক অব আজারবাইজান । দেশটির উত্তরে রাশিয়া, উত্তর–পশ্চিমে জর্জিয়া, পশ্চিমে আর্মেনিয়া এবং দক্ষিনে ইরান অবস্থিত। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে এই দেশটি বৃহত্তম ।আজারবাইজান দেশ তেল সম্পদে সমৃদ্ধ। অবকাঠামো এবং সামরিক ঘাঁটি উন্নয়ন সবক্ষেত্রেই তেলের অর্থ ব্যবহার করে দেশটি।অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশটির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক পুরস্কৃত হয়েছে। তবে একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে দুর্নীতি ও দারিদ্র্য যা দেশটির বর্তমান উন্নয়নকে ব্যাহত করছে । দেশটির মাটিতে আগুন দেখতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন।
আজারবাইজান, জাতি এবং প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র, এশিয়া ও ইউরোপ জুড়ে ক্যাস্পিয়ান সাগর এবং ককেশাস পর্বতমালার দ্বারা সীমাবদ্ধ। এর রাজধানী বাকু মধ্য প্রাচীর প্রাচীরের ইনার সিটির জন্য খ্যাতিমান। অভ্যন্তরীণ শহরের অভ্যন্তরে শিরওয়ানসাহসের প্রাসাদটি রয়েছে, যা পঞ্চদশ শতাব্দীর এক রাজকীয় পশ্চাদপসরণ, এবং শতাব্দী প্রাচীন পাথরের মেইডেন টাওয়ার, যা শহরের আকাশে আধিপত্য বিস্তার করে। – গুগল
রাজধানী : বাকু
রাষ্ট্রপতি: ইলহাম আলিয়েভ
জনসংখ্যা: ১০.০২ মিলিয়ন (২০১৯) বিশ্বব্যাংক
মুদ্রা: আজারবাইজানীয় মানাত
সরকারী ভাষা: আজারবাইজানীয়
মহাদেশ: ইউরোপ, এশিয়া
আজারবাইজানের ইতিহাস
ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার স্থল বাণিজ্যের পথের ওপর ও ক্যাস্পিয়ান সাগর তীরে অবস্থিত বলে বহু শতাব্দী ধরে রাশিয়া ও উসমানীয় শাসকের দখলে আজারবাইজান লিপ্ত ছিল। অবশেষে 8828 সালে রুশরা আজারবাইজান ভাগাভাগি করে নেয়। ওই সময় নির্ধারিত সীমান্তই আজারবাইজান ও ইরানের বর্তমান সীমানা নির্ধারণ করেছে। এরপরে ১৯১৭ সালের রুশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের 30 শে আগস্ট আজারবাইজান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। 86 হাজার 600 বর্গকিলোমিটার দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র 1 কোটি। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের 112 তম দেশ। দেশটির সরকারি ভাষা আজারবাইজানী।দেশটিতে আর্মেনিয়ান ও রুশ ভাষার প্রচলন আছে। আজারবাইজানের প্রথম ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। দেশের প্রায় 97 অংশ মুসলিম। জনসংখ্যার অধিক শতাংশ শিয়া ও সুন্নিতে বিভক্ত। বাকি কিছু অংশ খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী।বাকু আজারবাইজানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। শহরটি ক্যাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত।।
নিচের বিষয়গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন
►►আয়ারল্যান্ড দেশ – সকল তথ্য সমূহ
►►ফিজি দেশ
►►সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
আজারবাইজানের বাণিজ্য
তেল পরিশোধন শহরটির প্রধান শিল্প। এই শহরের সব থেকে প্রাচীন এলাকাটি দেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর নাম ইচেরি শেহর অর্থাৎ ভেতরের শহর । এলাকাটির প্রতিরক্ষার প্রাচীরটি ১২০০শতকে নির্মিত হয়েছিল। আধুনিক বাকু শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে ১৯১৯সালে প্রতিষ্ঠিত বাকু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়,একটি অপেরা ভবন ও অনেকগুলো নাট্যমঞ্চ ও জাদুঘর। দেশটির রাজনৈতিক ভিত্তি একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্র। যেখানে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান।
আজারবাইজানের জলবায়ু
দেশটির জলবায়ু অনেক বিচিত্র দেশটির গড় বার্ষিক তাপমাত্রা 14 থেকে 15 ডিগ্রী সেলসিয়া। দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন -33 ডিগ্রি সেলসিয়াস।দেশটিতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আগুন জলে এবং এ আগুন জ্বলার কারণ হলো ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াতে আগুনের ঘটনা বেশ কমে এসেছে, তবেএখনো টিকে থাকা এ আগুন গুলোর একটি হলো ইয়ানার ড্যাগ। আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র ও ইরানের পরে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিয়া প্রধান দেশ।দেশটিতে গনমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। যা এর দেশটির অগ্রগতিতে বাধা দেয়।আজারবাইজানের সংস্কৃতি বেশ পুরনো। প্রাচীন সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কার্পেট বোনা। যার ধারাবাহিকতায় এখনও চলে আসছে। দেশটির শিক্ষাক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা বাধ্যতামূলক ও দেশটিতে বেশিরভাগ মানুষই উচ্চশিক্ষিত । বাকু স্টেড বিশ্ববিদ্যালয় দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে দেশটির জনপ্রিয় খেলার মধ্যে রয়েছে ফুটবল ও কুস্তি। আজারবাইজানের অর্থনীতি বর্তমানে একটি সন্ধি পর্যায়ে বিদ্যমান। যেখানে সরকার এখনও একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে চলেছে।
Comments ৭