Welcome To ( ERIN )
What skills should be increased after admission to the university?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর, কি দক্ষতা বাড়ানো উচিত ?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর, বিশ্বিবদ্যালয় জীবন টা আমাদের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ সময়। যেই সময়ের পারফরম্যান্সের উপর ডিপেন্ড করবে আপনি ভবিষ্যতে কোন দিক যাচ্ছেন। তাই এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়।
আপনি যদি জব করতে চান তাহলে আপনাকে একভাবে স্কিল তৈরি করতে হবে। আর যদি ব্যবসায় করতে চান তাহলে অন্য স্কিল করতে হবে। লাইফ আপনার সিদ্ধান্ত ও আপনার। আমি হলাম একজন মধ্যস্ততা কারী হিসেবে একটা চেষ্টা করলাম আপনাকে কথা দিয়ে সাহায্য করার।
আপনি যদি জব করতে চান :
তাহলে আপনাকে যেই স্কিল গুলো দরকার বেশি
১. রুবিক্স কিউব এর দক্ষতা। এটি আশ্চর্য কিছু না আপনি যদি রুবিক্স কিউব মিলাতে পারেন তাহলে আপনার Analytical and Mathmatical দক্ষতা বাড়বে। আপনি অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের শক্তি তৈরি হবে। আপনার মনে আত্নবিশ্বাস বাড়বে আর যা আপনার ছাত্র জীবন ও কর্মজীবনে অনেক দরকারী।
২. কম্পিউটার টাইপিং বাংলা ও ইংরেজী। এটি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে যেমন প্রয়োজন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশেও প্রয়োজন।
৩. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল (বেশি দরকার) ও পাওয়ারপয়েন্ট । এগুলোর কাজ যত তারাতাড়ি শিখতে পারবেন তত ভালো৷
৪. কিছু টেকনিক্যাল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার ট্রাবল শুটিং।
৫. ইংরেজীতে দক্ষতা খুব দরকারী (আবশ্যিক) ।
৬. শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ যেখানে কোন প্রকার যেন আঞ্চলিক টান না থাকে। আপনি বাঙালি আপনাকে তো বাংলা শুদ্ধ ভাষা জানতে হবেই।
৭. ধৈর্য্য শক্তি অর্জন যা খুব দরকার। সব ক্ষেত্রেই আপনার ধৈর্য টা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলো দক্ষতা বাড়ালে যে আপনি সরকারি জবের জন্য যোগ্য হবেন তা না। আপনাকে মানুষ খুঁজে নিবে তখন। তাই নিজে বসে না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর পর চার বছর নিজেকে ধাপে ধাপে দক্ষ করে তুলেন।
আপনাকে ভালো পড়াশোনার পাশাপাশি আপনাকে উপরোক্ত দক্ষতা গুলো তে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। আপনার স্টুডেন্ট লাইফেও ভালো হবে। বর্তমানে আইসিটির যুগ আপনি আইটি তে দক্ষ মানে আপনাকে স্বাগতম ফর ফিউচার লাইফ।
প্রথম বর্ষ
থেকেই প্ল্যান করে রাখলেন। যেমন : প্রথম বর্ষে আপনি ইংলিশ স্পোকেন টা কাভার করলেন। পাশাপাশি জবের কিছু পড়া।
আমাদের প্রত্যেকেরি আজকাল ভালো ভাবে ঠিকে থাকতে হলে অবশ্যই প্রেজেন্টেশন স্কিল থাকতে হবে। সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে।
২য় বর্ষ
আপনি কম্পিউটার রিলেটেড সকল কোর্স করে ফেলবেন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে। যেকোনো জায়গায় জব করতে যান আপনাকে অবশ্যই বেসিক কম্পিউটার সম্পর্কে জানেন তা যাচাই করবে। সাথে এনালাইটিকাল কিছু করবে।
৩য় বর্ষ
কমিউনিকেশন স্কিল কেমন তা পরীক্ষা করবেন। আপনার কি করার ইচ্ছে জীবনে সেই অনুযায়ী আগাতে থাকবেন। প্রচুর ধৈর্য বাড়াতে হবে আপনাকে। স্টেপ বাই স্টেপ সব করবেন।
এখানে কিছু এক্সট্রা কোর্স করতে পারেন। রিসার্চ রিলেটেড কোর্স, কোনো আউটসোর্সিং, প্রেজেন্টেশন, বিজনেস বা অন্য কিছু যা আপনাকে অন্য দের থেকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
৪র্থ বষ
এটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষ বলা যায়। এই চার বছর পর অনেকে আপনার ক্লাস মেট কেউ কোনো কোম্পানির সিইও আবার কেউ বড় মাল্টন্যাশানাল কোম্পানির জব হোল্ডার। সবাই এগিয়ে গেছে নিজের দক্ষতায়। আপনাকে যেন হতাশ না হতে হয় সব ধরনের দক্ষতা আপনাকেও রপ্ত করতে হবে।
শেষ বর্ষে হতাশা কাজ যেন না করে তাই নিজের গড়ে তুলুন চার বছরে।
সর্বোপরি
প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত কষ্ট করার ধৈর্য থাকতে হবে। প্রচুর অধ্যবসায় করতে হবে সকল বিষয়ে। সব কিছু জানতে হয় বর্তমানে।
প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে হবে তবেই আপনি আপনার কমপিটিটর দের থেকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
পরিশ্রম
জীবনে সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রমের শেষ নেই। ভাগ্যের পর পরিশ্রমের ভিত্তি তেই সৃষ্টি কর্তা সফলতা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে ধাপে ধাপে আগাতে হবে। হতাশ হওয়া যাবে না আপনি যেই সাবজেক্টই আছেন এখন চাইলেই পরিবর্তন করতে পারবেন না। আপনাকে এটা কেই ভালোবেসে পড়তে হবে এবং সামনে আগাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হলো নিজেকে গড়ে তোলা। নিজেকে মুক্তমনা করে ছেড়ে দেওয়া। কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই নিজেকে স্টেপ বাই স্টেপ পরিবর্তন করা।
চারটা বছর দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। এর মাঝেই একেক ক্লাস মেট একেক জায়গায় চলে যাবে। কেউ চাকরি পাবে দ্রুত কেউ পাবে পরে।
আপনি ক্যাম্পাসে গিয়েই আগে একটু ভাববেন। রিসার্চ করবেন কেন কেউ আগে এবং পরে চাকরি পায়। আপনি নিজের ত্রুটি খুঁজে বের করে ওভার কাম করতে পারলেই সফল।
বেষ্ট অফ লাক।
আজকের সেশন টি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কি কি স্কিল অর্জন করা দরকার একজন শিক্ষার্থীর।