Welcome To (ERIN)
সোহরাব রোস্তম অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের গল্প
সোহরাব রোস্তম নিয়ে আজকের সেশনে আলোচনা করা হবে।
অবশ্যই এই সেশন টি পড়ার আগে আপনাকে ভালো করে গল্প টা পড়তে হবে। গল্প না পড়লে এই সেশন বুঝা যাবে না।
ভালো করে বুঝে দুই বার গল্প পড়বেন। তারপর এই সেশন রিভিশন হিসেবে পড়বেন।
গল্পের সারাংশ
সোহরাব রোস্তম গল্পটি লিখেছেন মহাকবি আবুল কাশেম ফেরদৌসী এটি অমর মহাকাব্য ‘শাহনামা ‘ থেকে সংকিপ্ত কিছু অংশ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এই গল্পে ঘটেছে পিতা ও পুত্রের ঘটনা। ইরানের বীর শামের পুত্র ছিলেন এক বীরযোদ্ধা ।
তাই তিনি বাদশাহের নজরে পড়েন তারপর রাজকন্যা রুদাবার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। তারপর সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে রুদবার ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা সদ মোরগের ভবিষ্যৎদ্বানী করেন।
সাহসী বীর একজন জন্ম নেয় রুদবার তার নামই ছিল রোস্তম। রোস্তম তরুণ বয়সেই অনেক কিছু জয় করেন অজেয় সোপান্দিও। সে ইরানের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে সাহসী বীর রোস্তম হয়ে উঠেন ইরানের বীর রোস্তম ।
রোস্তমের বিয়ে হয় সামপনাঘাম আদিপাতির কন্যা তহমিনার সাথে। রোস্তম বিয়ের পর পরেই আবার যুদ্ধ ক্ষেত্রে ফিরে যান। সে যাওয়ার পূর্ব মূহুর্তে তার স্ত্রী কে একটি তাবিজ দিয়ে যান। আর বলে যান পুত্র সন্তান হলে যেন এটি পড়িয়ে দেয় হাতে।
সঠিক সময়ে ঠিক টাক মতো তহমিনার কোলে আসে পুত্র সন্তান। মা নাম রাখেন সোহরাব। কিন্তু রোস্তমের কাছে মিথ্যা খবর দেয় ছেলে হারানোর ভয়ে বলেছেন মেয়ে হয়েছে। সর্বোপরি বাবার মতো হয়ে উঠলেন সোহরাব। বাবার সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহ হয়ে য়ায়।
সেই সময় টা তে দুই দেশের যুদ্ধ লেগে যায় ইরান ও তুরানের। তখন বাবার সাথে দেখা করার জন্য তুরানের পক্ষ হয়ে মাঠে নামেন সোহরাব। তখনি বাবার মতো সোহরাবের বীরত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে।
তখনি সোহরাব আহ্বান করেন রোস্তমকে দ্বন্দ্ব যোদ্ধে। নিজের সবকিছু গোপন রেখে রোস্তম নামে যুদ্ধে। কিন্তু মহাবীর রোস্তম যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী এক পর্যায়ে সোহরাবের বুকে তলোয়ার ঢুকিয়ে দেয়। তারপর মৃত্যুপথযাত্রী সোহরাব সব খুলে বললেন। তখন পিতার হাতেই পুত্রের মৃত্যু হলো।
এভাবেই তাদের পিতা ও পুত্রের সমাপ্তি।
( পাঠ বই থেকে)
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পর্ব
১.শামের পুত্রের নাম কি?
ক. রোস্তম
খ. জাল
গ. সোহরাব
ঘ. টম
উত্তর : জাল
২। কার চুল ধবধবে সাদা?
ক. রোস্তম
খ.টম
গ.সোহরাব
ঘ.জাল
উত্তর : জাল
৩। রাজা মেহেরাবের কন্যার নাম কি?
ক. সিমরান
খ. রদবা
গ.রুদবা
ঘ.মেহেরুন্নেসা
উত্তর : গ
৪। জালের ছেলের নাম কি?
ক. সোহরাব
খ.রোস্তম
গ.জালীম
ঘ.পাঠান
উত্তর : খ
সংকিপ্ত প্রশ্নাবলী
এগুলো পড়লে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দিতে পারবে।
১। সি- মোরগ কে কিভাবে আনতে হয়?
উত্তর : তার পালক কে আগুনের তাপে ধরতে হয়।
২। কিছু দিনের মধ্যে কার কঠিন রোগ হলো?
উত্তর : জালের স্ত্রী রুদবার।
৩। সি-মোরগ কেমন সন্তান হবে বলেছেন?
উত্তর : বীরত্ব ও সাহসী।
৪। রোস্তম কয়টা ছাগলের মাংসের কাবাব দিয়ে প্রাতঃরাশ সম্পন্ন করেন?
উত্তর : পাঁচটি ছাগল দিয়ে।
৫। রোস্তম গদা নিয়ে কার সামনে গেল?
উত্তর : পাগলা হাতির সামনে গেল গদা নিয়ে।
৬। রাজা নওরদ কে হত্যা করেন কে?
উত্তর : তুরানের সেনাপতি আফরাসিয়াব।
৭। বীর রোস্তম কে?
উত্তর : ইরানের মহাবীর রোস্তম।
৮. ইরানের স্বাধীনতা কে উদ্ধার করলেন?
উত্তর : রোস্তম ইরানের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেন।
৯। ইরান রাজারে বন্দিদশায় সংবাদ পৌঁছাল কোথায়?
উত্তর : সংবাদ পৌঁছাল জাবুলিস্থানে।
১০. সফেদ কে কিভাবে মারলেন রোস্তম।
উত্তর : গলা দ্বিখণ্ডিত করে।
১১. কিসের উপর শুয়ে রোস্তমের চোখে তন্দ্রার ভাব আসে?
উত্তর : হাতির দাতের পালঙ্কে শুয়ে।
১২. সামেনগান অধিপতির মেয়ের নাম কি?
উত্তর : তহমিনা।
১২. রোস্তম কাকে বিয়ে করলেন?
উত্তর : সমেনগান অধিপতির মেয়ে তহমিনা কে।
১৩। রেস্তমের বিয়ের কিছু দিন পর কোথায় চলে যায়?
উত্তর : যুদ্ধে চলে যায়।
১৪. শত্রুকে কতবার পরপর পরাজিত না করলে তাকে প্রাণে মারা যায় না?
উত্তর : দুইবার।
১৫. সোহরাবের মায়ের নাম কি?
উত্তর : তহমিনা।
১৬. সোহরাবের মৃতু হয় কার হাতে?
উত্তর : রোস্তমের হাতে।
রাজা ইরিজির পিতার নাম কি ছিল?
অনুধাবন মূলক প্রশ্ন
১৭. রোস্তম বিয়ে করেই কেন ইরানে চলে যায়?.
উত্তর : মহাবীর রোস্তম তহমিনা কে বিয়ে করে তারপর পর খবর আসে ইরানে স্বাধীনতা কে আঘাতের সম্ভাব্য কথা। সে দেরি না করে নববধূ রেখে আবার রওনা দিল যোদ্ধাযাত্রায়।
১৮. সোহরাব কেন ইরানের যুদ্ধে নেমেছিল?
উত্তর : পিতা মহাবীর রোস্তমের সাথে দেখা হবে বলে সে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিল তুরানের পক্ষ হয়ে৷ সে রোস্তমের সাথে দেখা করবেন বলেই।
১৯. শাম পত্র জালকে আলবুরুজ পর্বতে ফেলে এসেছেন কেন.?
উত্তর : জালের দেহের রং সাদা। নানান সমস্যার কারণে সে এমন করলো।
২০. রোস্তম জোর করেই কেন তার স্ত্রী কে ভুলে থাকতে চাইলেন?
উত্তর : রোস্তম মায়ায় পড়ে ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন তহমিনা কে। কিন্তু তার দেশপ্রেমের নেশা। যুদ্ধ ক্ষেত্রের নেশা থাকে ভালো থাকতে দেয় নি। তার মনে পড়ে বেশি। সকল মায়া ত্যাগের জন্য চাইলেন।
আজকের সেশনের সোহরাব রোস্তমের গল্পের সব কিছু আমি তুলে ধরেছি যতগুলো মনে হলো গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা এগুলো ফলো করো সাথে গল্প টা ভালো করে পড়। লেখক পরিচিত টা ভালো করে পড়তে হবে অবশ্যই ।
তোমরাও পড়া শেষে এটির একটি সংক্ষিপ্ত আকারে নিজের মতো করে একটি অনুচ্ছেদ লিখার চেষ্টা করবা। এভাবে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করলে আরও তথ্য পাবে। এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া হলো।
অষ্টম শ্রেণির আরও বইয়ের জন্য এমন সহজ ভাবে সাজিয়ে দেওয়া আছে এরিনে।
সকল একাডেমিক বিষয় এরিনে পাবেন। দেখতে ওয়েব সাইটের একাডেমি সাইটে যাবেন। ধন্যবাদ।