আয়ারল্যান্ড উত্তর–পশ্চিমে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হচ্ছে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের অফিসিয়াল নাম হচ্ছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড বলতে একটি দ্বীপ বুঝায় যা রাজনৈতিকভাবে দুই ভাগে বিভক্ত এবং দক্ষিণ–পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর রয়েছে এবং আড়াই হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করলে এর মাঝে আর কোনও দেশ নেই।
আয়ারল্যান্ড উত্তর আটলান্টিকের একটি দ্বীপ। এটি উত্তর চ্যানেল, আইরিশ সাগর এবং সেন্ট জর্জের চ্যানেল দ্বারা গ্রেট ব্রিটেন থেকে এর পূর্ব দিকে পৃথক করা হয়েছে। আয়ারল্যান্ড হ‘ল ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ, ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম এবং পৃথিবীর বিশতমতম দ্বীপ।
আয়তন: ৮৪,৪২১ কিলোমিটার ²
জনসংখ্যা র্যাঙ্ক: ১৯ তম
জনসংখ্যা: ৬,৫৭২,৭২৮ (২০২১)
ক্ষেত্রের স্থান: ২০ তম
ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এটি
আয়ারল্যান্ড আমাদের মতই ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল দীর্ঘদিন। মাত্র 1921 সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।এই দেশের মোট জনসংখ্যা 40 লাখেরও বেশি। ইউরোপের একমাত্র খ্রিষ্টান প্রধান দেশ হচ্ছে আয়ারল্যান্ড ।ধর্মীয় কারণে এখানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিষিদ্ধ । প্রকাশ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিক্রি হয় না। প্রতিটি পরিবারে শিশুদেরকে প্রাধান্য দেয়। এমনকি হোটেল–রেস্তোরাঁয় পরিবারের শিশুদের কে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। ব্রিটিশদের মধ্যে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। তারা পরিবারকে গুরুত্ব দেয় না তাই আইরিশরা ব্রিটিশদেরকে ঘৃণা করে।আইরিশদের প্রধান খাদ্য হলো আলু।আয়ারল্যান্ডের মাটি চাষবাষের জন্য খুব একটা উপযোগী নয় আর পাথর আর কংকর মিশ্রিত থাকায় ফসল ফলানো কঠিন।
আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস
আয়ারল্যান্ড একমাত্র দেশ যে দেশের জাতীয় প্রতীকে একটি মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট এর ব্যবহার করা হয়েছে। শুনে অবাক হবেন আয়ারল্যান্ডে চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও কোনো সাপ নেই এবং সেখানে কোন সরীসৃপই প্রবেশ করতে পারেনি শুধুমাত্র টিকটিকি ছাড়া । মানচিত্রে দেশটি দেখতে লম্বাটে এবং দেশটির ভবনগুলোতে ঐতিহ্যের চাপ থাকলেও আধুনিকতার শেষ নেই। 1920 সালের আগে এদেশে ছেলে–মেয়েদের বিয়ে সময় দূর থেকে একে অপরের দিকে হেঁটে আসতে হতো এটা তখনকার দিনের সংস্কৃতি ছিল । আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ লোকের পছন্দের রং সবুজ কিন্তু রাষ্ট্রীয় রং নীল কে বানানো হয়েছে। তাদের জাতীয় পতাকার তিনটি রং। এর মধ্যে সবুজ রং রোমান ক্যাথলিক, কমলা রং প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম কে প্রতিনিধিত্ব করে এবং সাদা রং ঐতিহ্যের প্রতীক। আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস খুব বেশি যুদ্ধে ভরপুর ছিল এই কারণে এই দেশে অনেক বেশি পরিমাণে দুর্গ বানানো হয়েছে। এর বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল বাহির থেকে এদের পরিবারের লোকদের রক্ষা করা। আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ ইনকাম আলু, গরুর মাংস, জিংক এবং মেশিনারি এক্সপোর্ট থেকে আসে।
আয়ারল্যান্ডের প্রবাসীদের ইনকাম
আয়ারল্যান্ডের প্রবাসীদের ইনকাম প্রায় 3 থেকে 4 লাখ টাকার মতো।
নিচের বিষয়গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন
►►কিভাবে রোমানিয়ার PR পাওয়া যাবে
►►ফিজি দেশ
►►সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
সুবিধা ও অসুবিধা
এদেশের মেয়েদের অনেক সুবিধা দেওয়া হয়। এদেশে বিয়ের পর husband-wife প্রায় 12- 13 বছর একসাথে থাকে তারপর বিনা তালাকে অন্যজনের সাথে থাকতে পছন্দ করে. এখানকার প্রায় 70 পার্সেন্ট মানুষরা পরকীয়ায় লিপ্ত থাকে। আপনার জন্ম যেখানেই হোক না কেন যদি আপনার দাদা–দাদী আইরিশ হয় তাহলে আপনি আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। আয়ারল্যান্ডের যত লোক সে দেশে থাকে তার থেকে বেশি লোক সে দেশের বাহিরে থাকে। বিশেষ করে আমেরিকা । আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন ।এ নগরী বেশ ছিমছাম। লন্ডনকে যেমন ব্যস্ত নগরী মনে হয় ডাবলিন সেই তুলনায় অনেক শান্ত ওসৌম্য । রাতে এ শহরকে খুবই ঝলমলে ও সুন্দর আলোকিত মনে হয় এবংদিনের থেকেও সুন্দর লাগে।এদেশে সমকামী কে প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং সমকামীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। হ্যালো ইন উৎসব এই আয়ারল্যান্ড থেকেই শুরু হয়। চল্লিশের দশকে আয়ারল্যান্ডে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। আলু ও অন্যান্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এতে প্রায় 10 লাখ লোক মারা যায়। এদেশে ৯.৪% লোক কোনো ধর্মে বিশ্বাসি নয়। মুসলমানদের জন্য রয়েছে অনেক সুবিধা। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক ছাত্র–ছাত্রী উচ্চতর শিক্ষার জন্য আয়ারল্যান্ডে গমন করে।
এই ছিল আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
Comments ১৬