Email মার্কেটিং করে আয়।

Digital Marketing সেক্টরের একটি জনপ্রিয় skill বা সহজেই অনলাইন থেকে আয় করার উপায় হচ্ছে Email মার্কেটিং। Email মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Email মার্কেটিং কি?

আমারা যেই পন্য অথবা প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসার‌ ইমেইল এর মাধ্যমে করে থাকি তাকেই Email মার্কেটিং বলে।

Email মার্কেটিং এর খুব সুপরিচিত আরোও ২ টি নাম পরিচিত।

আরও পড়ুন

1) Online Marketing
2) Digital Marketing

ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট এর সাহায্যে মানুষ কত কিছুই না করতেছে। তবে ইন্টারনেট থেকে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে।
তার মধ্যে ই-মেইল মার্কেটিং অন্যতম জনপ্রিয় একটি skill.অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম একটি দক্ষতা হচ্ছে Email মার্কেটিং।
আপনার ব্যবসাকে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইমেইল মার্কেটিং হতে পারে সঠিক গাইড লাইন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসার করতে পারবেন ইমেইল এর মাধ্যমে।
Email মার্কেটিং আপনার টার্গেটেড কাস্টমার দের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করবে।

Email মার্কেটিং আমরা কেন করবো?

ই-মেইল মার্কেটিং করার জন্য নিচে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো :

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পন্যের সম্পর্কৈ পজিটিভ তথ্য দিয়ে টার্গেটেড কাস্টমার এর কাছে মেইল পাঠানোর মাধ্যমে পোডাক্ট সেলস জেনারেট করতে পারবেন।
ই-মেইল মার্কেটিং করার জন্য মেন্যুয়াল ভাবে ১৫০ জনের কাছে মেইল করতে পারবেন কোনো প্রকার Online Tools এর সাহায্যে ছাড়া।

Email Signature.

ই-মেইল সিগনেচার ব্যবহার করার ওনেক উপকার রয়েছে।

পৃথিবীতে অন্য সব দেশের মানুষেরা প্রায় সকল কাজ বা কোনো বার্তা ইমেইল এর মাধ্যমে সরবাহ করে থাকে ।
বাংলাদেশ এর মানুষেরা ইমেইল এর মাধ্যমে বার্তা খুব কম ব্যবহার করে থাকে ।

Email signature কি ?

ই-মেইল সিগনেচার হালো আপনার সম্পর্কে পরিচয় দেওয়া।
ই-মেইল সিগনেচার এর ব্যবহার করলে যে কেউ মেইল পরতে বাধ্য হবে।
তারফলে আপনার মেইলে গুলো সুন্দর ভাবে লিখলে আপনার সেলস বৃদ্ধি করতে সহায়তা হবে।
ইমেইল মার্কেটিং এর বিশেষ একটি ধাপ হচ্ছে: Email Signature.

যত বেশি ই-মেইল সরবাহ করতে পারবেন তত বেশি আপনার পন্য বা সেবা বৃক্রি করে আয় করতে পারবেন।

হজার হাজার Email পাঠানোর জন্য আপনার বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করতে হবে।
মেন্যুয়ালি ১৫০-২০০ জন এর বেশি মেইল সরবাহ করা যায় না ।

আমরা যদি একসাথে হাজার বা লক্ষাধিক Email পাঠাতে চাই সেই ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করতে হবে।

আসুন Email marketing Tools গুলো কি‌ জেনে নেই। বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি টুলছ এর নাম বলা হলো:

Malechim
Kalaviyo
Brebo
Malier light
Email octopus

আরোও বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করা যায়। তবে উপরেরে এই টুলস গুলো মানুষ বেশি ব্যবহার করে থাকে।

Email মার্কেটিং করে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে:

১) আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা ইমেইল এর মাধ্যমে প্রচার প্রসার করে আয় করতে পারবেন।

২) Email মার্কেটিং এর উপর যদি আপনি সম্পূন দক্ষবান ব্যাক্তি হয়ে থাকেন।

তাহলে অন্য ব্যক্তিকে আপনার ই-মেইল মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।

৩) মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারবেন যেমন: Fiver .Upwork এর মতোন আরোও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস কাজ করতে পারবেন।

ই-মেইল মার্কেটিং এর‌ প্রচুর চাহিদা রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে।
অনলাইনে ব্যবসা করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ই-মেইল মার্কেটিং।
তাই fiver , upwork এর মতোন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এ প্রচুর পরিমাণে কাজ পেয়ে থাকবেন।

৪) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম থেকে Email মার্কেটিং এর প্রচুর পরিমাণে কাজ পেয়ে থাকবেন যেমন:

Instagram ,Facebook, Twitter, আরোও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ।
Instagram থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ পাওয়ার সহজ মাধ্যম।
ইনস্টাগ্রাম এর বায়োতে যদি আপনার পোর্টফোলিও লিংক যোগ করে দেন এবং আপনার পোর্টফোলিও তে ই-মেইল মার্কেটিং এর সকল ইনফরমেশন দেওয়া থাকে তাহলে আপনার কাজ পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে।

Twitter & Facebook, pintarest থেকে একই নিয়ম অনুসরন করেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে জয়েন হন আপনার নিশ অনুযায়ী।

৫) LinkedIn এমন একটি প্লাটফর্ম যেটা থেকে আপনার যে কোনো বিষয় বস্তুকে সহজ করার মাধ্যম।

LinkedIn এ যদি আপনার একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করা থাকে তাহলে আপনার ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে সহজ হয়ে যাবে ।
লিংকডিন জব পোস্ট এর ওইখানে গিয়ে সার্চ বক্সে ই-মেইল মার্কেটিং লিখলে ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে অনেক জব পেয়ে থাকবেন।
এই সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি অনাহাসে Email মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন ।

তবে আপনাকে আয় করার জন্য আগে যথেষ্ট পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে সেটা হোক মার্কেটপ্লেস নিয়ে বা ই-মেইল মার্কেটিং এর উপর দক্ষতা নিয়ে।

Email মার্কেটিং করার জন্য আপনার প্রথম পর্যায় ই-মেইল কালেক্ট করা সম্পর্কে জানতে হবে ।

আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি যে কোনো দেশের মানুষেদের ই-মেইল একাউন্ট খুঁজে বের করতে পারবেন।

আমরা ২ টিপছ অবলম্বন করে Email কালেক্ট করতে পারবেন।

১) মেন্যুয়ালি ভাবে.

২) টুলস .

মেন্যুয়ালি !!

মেন্যুয়ালি ভাবে আপনার ই-মেইল কিলেক্ট করার জন্য গুগল কে ব্যবহার করে খুব সহজেই কালেক্ট করতে পারবেন।
আপনার কুলিঙ্গি অনুযায়ী অর্থাৎ আপনি যাদের ই-মেইল কালেক্ট করতে চান তাদের টার্গেট করে গুগলে সার্চ করুন ‌।
তারপর অনেকগুলো ব্যক্তির তথ্য চলে আসবে এক এক জনের একাউন্ট এ ক্লিক করে ইমেইল কালেক্ট করতে পারবেন।

টুলস !!

টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই ইমেইল কালেক্ট করতে পারবেন।
মেন্যুয়াল ভাবে আপনি তত বেশি ই-মেইল কালেক্ট করতে পারবেন না।
তবে টুলস ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে হাজার হাজার ইমেইল সরবাহ করতে পারবেন।

খুব জনপ্রিয় একটি টুলস এর নাম নিচে দেওয়া হলো:

Email Extractor

এই টুলস টি ব্যবহার ক্ষেত্রে খুব সহজেই এবং কম সময়ে আপনি ইমেইল কালেক্ট করতে পারবেন।
Email extractor এই টুল টি ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি সূত্র ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র টি হলো?

টার্গেটেড নিশ+লোকেশন+@gmail.com

উদাহরণ!

Student+Bangladesh+email@gmail.com

এই প্রদক্ষেপ গুলি অনুশীলন করে ই-মেইল সরবাহ করতে পারবেন।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার টার্গেটেড ই-মেইল সরবরাহ করে আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে মেইল পেন্ট করলে আপনার সেলস বৃদ্ধি পাবে।

Email Marketing করে আয় করার জন্য নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো।

১) টাইটেল

আপনার পন্য,সেবা অথবা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করুন।

২) Email signature

ই-মেইল সিগনেচার ব্যবহার করুন।

৩) আকর্ষণীয় লেখা।

ই-মেইল কম্পোজে আকর্ষন মুলক আপনার পন্য, সেবা অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে লিখেন।
যাতে এই তথ্য গুলি পড়ে আপনার ব্যপারে পজিটিভ থাকে।

৪) ইমেজ

আপনার সকল তথ্য অনুযায়ী একটি চোখ ধাঁধানো ছবি ব্যবহার করুন।
ছবি টা এমন ভাবে তৈরি করবেন যাতে আপনার টার্গেটেড কাস্টমার পন্য,সেবা কোনো বিষয় কিনতে আগ্ৰহ হয়।