পোল্যান্ড দেশ পরিচিতি ,পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপে অবস্থিত একটি সুন্দর দেশ। এ শব্দের অর্থ মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর জনগণের দেশ। দেশটির সাংবিধানিক নাম রিপাবলিক অফ পোল্যান্ড। প্রায় 3 লক্ষ 12 হাজার 696 বর্গকিলোমিটারের এই দেশটি ১৬ টি প্রশাসনিক প্রদেশে বিভক্ত। এই দেশটির সাথে ইউরোপে প্রায় সাতটি দেশের স্থল সীমানা সংযুক্ত। পোল্যান্ডের পূর্ব দিকে রয়েছে ইউক্রেন এবং বেলারস, পশ্চিমে রয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক এবং উত্তরে রয়েছে লিথুয়ানিয়া এবং রাশিয়া এবং দক্ষিনে রয়েছে স্লোভাকিয়া। এছাড়াও পোল্যান্ডের সাথে ডেনমার্কের সীমান্ত রয়েছে।
রাজধানী : ওয়ারশ
ডায়ালিং কোড: +৪৮
রাষ্ট্রপতি: আন্দ্রেজেদ দুদা
জনসংখ্যা: ৩৭.৯৭ মিলিয়ন (২০২১) ইউরোস্ট্যাট
মুদ্রা: পোলিশ জ্যোতি
পোল্যান্ডের আয়তন
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর 70 তম দেশ ও ইউরোপে এদের অবস্থান নবম। পৃথিবীতে জনসংখ্যার দিক দিয়ে 70 তম বৃহৎ রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পঞ্চম তম বৃহৎ। পোল্যান্ডের জনগণের প্রায় ৯৪ শতাংশ পোল্যান্ডের অধিবাসী। বাকি দুই শতাংশ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত।
পোল্যান্ডের ধর্ম
এখানকার মানুষের প্রধান ধর্ম খ্রিস্টান। এখানকার প্রায় ৯২ ভাগ এর বেশিরভাগ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী। বাকি কিছু শতাংশ লোক অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী।
পোল্যান্ডের ভাষা
পোল্যান্ডের সরকারি ভাষা পোলিও। পোল্যান্ডের প্রায় 98 শতাংশ লোক পোলিও ভাষায় কথা বলে।এছাড়া অন্যান্য ভাষার মধ্যে রয়েছে বেলারস জার্মানি, ইউক্রেনীয় রোমানি ভাষা। তবে আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে দেশটি ইংরেজি ও রুশ ভাষা ব্যবহার করে।
পোল্যান্ডের ইতিহাস
পোল্যান্ডের ইতিহাস অত্যন্ত সুদীর্ঘ।পোল্যান্ডের রাজধানীর নাম warsaw.পোল্যান্ড সম্পর্কে সবথেকে মজার তথ্য হলো দেশের রাজধানী ওয়ারশ কে নারীদের শহর বলা হয়। এখানে বেশিরভাগ নারীদের বয়স ২১–৩১। মজার ব্যাপার হল এদের কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই। পোল্যান্ডের অর্থনীতি অনেক গতিশীল। এখানে রয়েছে সবথেকে বড় শেয়ার বাজার। পোল্যান্ডের মাথাপিছু আয় ৩৫ হাজার মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি যা বিশ্বে ৪৩ তম।
পোল্যান্ডের 1 টাকা সমান বাংলাদেশের 20 টাকা এবং ভারতের 18 টাকা। পোল্যান্ডের অর্থব্যবস্থা কে বিশ্বের সেরা অর্থনীতি সম্পূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি ধরা হয়।
পোল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত। পোল্যান্ডের শিক্ষার হার ৯৮. ৭৪%।পোল্যান্ডে রয়েছে অনেক বিশ্ব বিদ্যালয়। পোল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক বিস্তৃত। পোল্যান্ডের উন্নয়নে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক ভূমিকা পালন করেছে। ইংলিশে রেনেসাঁসের শুরু মূলত পোল্যান্ড থেকেই। পোল্যান্ডের শিক্ষাগুরুই শুরু করেছিল রেনেসন্স।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পোল্যান্ড অনেক এগিয়ে রয়েছে। বহুকাল আগে থেকেই পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী রা চেষ্টা করে চলেছে তাদের মেধা দিয়ে দেশটিকে বিজ্ঞান সমাজের শিখরে আগানোর।পোল্যান্ডে বিখ্যাত বিজ্ঞানী marie জন্ম নিয়েছেন। রসায়ন বিজ্ঞানে তেজসক্রীয় অনুসন্ধান কাজে যার সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে এবং পৃথিবীর চারপাশে সূর্য প্রদক্ষিণ করে চলেছে এ ধারণাকে সর্বপ্রথম ভুল প্রমাণিত করেন nicolaus copernicus.নামে পোল্যান্ডের এক বিজ্ঞানী। তাই ইউরোপের অন্য দেশ গুলোর থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে পোল্যান্ড অনেক এগিয়ে।
নিচের বিষয়গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন
►►আয়ারল্যান্ড দেশ – সকল তথ্য সমূহ
►►ফিজি দেশ
►►আজারবাইজান দেশ -সকল তথ্য সমূহ
অজানা কিছু তথ্য
সকল দেশের মতো পোল্যান্ডের মানুষ খেলাধুলা অনেক পছন্দ করে। খেলাধুলার মধ্যে ফুটবল ও ভলিবল উল্লেখযোগ্য রয়েছে। ১৯৭৪–১৯৯১ পর্যন্ত পোল্যান্ডের warsaw রেডিওস্টেশন সবথেকে উঁচু ভবন ছিল। তবে কারিগরি ত্রুটির জন্য এটি নষ্ট হয়ে যায়। পোল্যান্ডের সংস্কৃতিতে ইউরোপের প্রভাব প্রচন্ড বিদ্যমান। তাদের এক আজব উৎসব রয়েছে এ উৎসবে যুবকরা তাদের বালতিতে থাকা পানি যুবতীদের গায়ে ছিটিয়ে দেয় । এর মাধ্যমে তারা তাদের বিবাহ প্রস্তাব দেয় এবং যদি মেয়েটি বিপরীতে ছেলেটিকে লিলি ফুল ছুঁড়ে দেয় তাহলে এতে করে বোঝা যায় মেয়েটি ছেলেটির সাথে থাকতে চায়।এটি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিখ্যাত একটি দেশ। এখানে ৯২ হাজার লেক রয়েছে যা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। অধিক মাত্রায় খোলামেলা পরিবেশের জন্য এদেশে বিবাহ বিচ্ছেদ অনেক বেশি। ২০১৩ সালে এক দম্পতি তাদের বিয়ের ৫০ বছর পালন করেন।যা ছিল পোল্যান্ডের ইতিহাসে রেকর্ড এবং তার জন্য পোল্যান্ড সরকার তাদের পুরস্কৃত করেন।পোল্যান্ডের নারীরা বিয়ের পর সন্তান নিতে আগ্রহি নয় তাই
এখানে ৪০ শতাংশ নারীর কোনো সন্তান নেই।পোল্যান্ডে কোনো দম্পতি যদি ২য় সন্তান নেন তাহলে সরকার তার ব্যয় বহন করেন তবুও এখনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক কম।পোল্যান্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অভ্যন্তরিন ও অন্যটি আন্তর্জাতিক। পুরো দেশে ৯০ টি মহাসড়ক রয়েছে। এখানে ট্রাফিক জ্যাম নেই বললেই চলে। পর্যটনের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ও সস্তা দেশ হিসেবে পোল্যান্ডের খ্যাতি রয়েছে। ২০০৭ সালের পর থেকে পোল্যান্ড কয়েকটি দেশের জন্য উন্মুক্ত ভিসা প্রদান করেছে যার ফলে প্রতি বছর এখানে ২ কোটির ও বেশি লোক পোল্যান্ডে বেড়াতে আসে।