জাপান দেশ-পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত একটি সার্বভৌম দ্বীপের দেশ জাপান। ভৌগোলিক অবস্থান জাপানকে দ্বীপের দেশ বলার কারণ হলো এদেশ গঠিত হয়েছে 6852 টি দ্বীপের সমন্বয়ে।এগুলোর মধ্যে চারটি সবচেয়ে বড় দ্বীপ হল, honshu, Hokkaido, Kyushu, shikoku. যেগুলি জাপানের প্রায় 97 শতাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে। ১২ কোটি ৭৭ লাখ এদেশর রাজধানীর নাম হল টোকিও। এর জাতীয় মুদ্রার নাম হল ইয়েন। সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে ও জাপান পরিচিত। Cherry blossom নামক ফুলটি জাপানের জাতীয় ফুল।জাপান গঠিত হয়েছে ছোট–বড় অনেকগুলো দিক নিয়ে। দীপ গুলো বেশিরভাগই ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত।
প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার আসলে প্রশান্ত মহাসাগরে এমন একটি এলাকা যেখানে ছোট–বড় অনেক আগনেয় গিরি রয়েছে. ১৯২৩,১৯৯৫ এবং ২০১১ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সৃষ্ট হওয়া সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।মূলধন: টোকিও
জাতীয় ভাষা: জাপানি
জনসংখ্যা: 126.3 মিলিয়ন (2019) বিশ্বব্যাংক
মুদ্রা: জাপানি ইয়েন
প্রধানমন্ত্রী: ইয়োশিহিদে সুগা
জাপান জনসংখ্যা
জাপান পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ গুলোর মধ্যে একটি। যেখানে প্রত্যেক বর্গকিলোমিটার এলাকায় 336 জন লোক বসবাস করে। কেবলমাত্র দেশের রাজধানী টোকিও শহরে প্রায় 90 লাখের বেশি কিছু মানুষ বসবাস করে। জাপানের জনসংখ্যার প্রায় 80% মানুষ honshu নামক দ্বীপ টিতে
বসবাস করে। জাপানি মানুষদের আয়ুকাল সবথেকে বেশি ধরা হয় পুরুষেরা বেশিরভাগই 81 বছর ও মহিলারা ৮৮ বছর বয়সী হয়ে থাকে। 2012 সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪.১% শতাংশ মানুষের আয়ুকাল ৬৫ বছর দেখা গেছে।
জাপান ইতিহাস
জাপানি ভাষায় জাপান শব্দটিকে nihon or nipon নামে ডাকা হয়। একসময় মনে করা হতো সকালে পূর্ব দিকে সূর্য ওঠা টাকে জাপান থেকে সবথেকে আগে দেখা যায় এ কথার ভিত্তিতে পশ্চিমী সভ্যতায় জাপানকে land of the rising sun নামে আখ্যা দেওয়া হয়। জাপানি প্রায় 73 শতাংশ জায়গায় মানুষের বসবাসের অনুপযোগী যেখানে রয়েছে ঘন ঘন জঙ্গল তাই দেশের বেশিরভাগ জনগণই উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে প্রায় 13 হাজার খ্রিস্টপূর্বে jomon নামক মানবসভ্যতার পরিচয় পাওয়া যায়। তাদেরকে শিকারি মানুষ বলা যেতে পারে। আসলে এরাই জাপানি বাসিন্দাদের পূর্বপুরুষ। চিনা ইতিহাস বই book of ham এমন একটি পান্ডুলিপি যেখানে জাপানের নাম উল্লেখ পাওয়া গেছে। জাপানের সর্বপ্রথম শাসকের নাম ছিল jimmu tenno ।বর্তমানে একজন শাসক রয়েছেন যিনি 125 তম জাপানি শাসক তার নাম akihito।
জাপান রাজনৈতিক অবস্থা
বর্তমানে জাপান একটি দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে। জাপানের শাসকের অধিকার খুবই সীমিত।
ধর্মীয় অবস্থা
জাপানের সংবিধান অনুযায়ী জাপানের সব ধর্মের মানুষ বসবাস করতে পারে । দেশে প্রায় ৫১.৮২% কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয় এমন মানুষ এবং ৩৪.৯%বৌদ্ধ 2% খ্রিষ্টান ৬.৯৮%মানুষ অজানা ধর্মে বিশ্বাসী।
জাপান অর্থনৈতিক অবস্থা
জাপানের জাতীয় ভাষা জাপানিজ।জাপান সম্পর্কে কথা হলে ইলেকট্রনিক জিনিসের নাম অবশ্যই আসে।পৃথিবীর কিছু বিখ্যাত ইলেকট্রনিক জিনিস ও গাড়ির কোম্পানি fujji film.sony.nintendo.panasonic.
Toyota.nissam.honda এগুলো জাপানে উৎপত্তি। পৃথিবীর animation show বা কার্টুন জগতের ৬০% জাপানে তৈরি হয়।প্রায় 90% মোবাইল ফোন water Prof. পৃথিবীর প্রায় 16 শতাংশ সোনা এবং 22 শতাংশ রুপা জাপানের তৈরি ইলেকট্রনিক জিনিসের ব্যবহার করা হয়। জাপান সবচেয়ে সুপার কম্পিউটার তৈরি করতে চলেছে। জাপানি 1.2 মিলিয়ন কিলোমিটার সড়ক দেশটির অর্থনীতির ভিত হিসেবে ধরা হয়। পৃথিবীকে জাপানের ট্রেন সবথেকে দ্রুত ও সময় মত চলার জন্য পরিচিত। সবচেয়ে গতিশীল ট্রেন shinkansen পৃথিবীতে জাপানের বুলেট ট্রেন হিসেবে পরিচিত।এই ট্রেনগুলি ঘন্টায় প্রায় ২৪০–৩২০ কিলোমিটার বেগে চলে।
নিচের বিষয়গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন
আয়ারল্যান্ড দেশ – সকল তথ্য সমূহ
খাদ্যবস্থা
জাপানে কিছু লোক প্রিয় খাবার আছে যেমন কাঁচা ঘোড়ার মাংস যাকে basishi বলে এবং sushi যা ভাতকে ভিনেগার, লবন এবং চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ও তার সাথে কাঁচা মাছ কুচি কুচি করে পরিবেশন করা হয় যাকে sashimi বলে।
জাপানের মানুষ সবথেকে বেশি মাছ ও সামুদ্রিক খাবার খায়।
পর্যটক শিল্প
জাপান পৃথিবীর একটি প্রসিদ্ধ পর্যটনস্থল। প্রায় ২৪.০৩ মিলিয়ন পর্যটক ২০১৬ সালে জাপানে বেড়াতে এসেছে। দেশি কিছু বিখ্যাত দার্শনিক স্থান পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে ৷
tokyo sky tree সবচেয়ে লম্বা টাওয়ার ও mount fuji হিরোসিমা পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
খেলাধুলা
জাপানের জাতীয় খেলা sumo weestling যা প্রায় দেড় হাজারের ও পুরোনো ।
এছাড়াও ফুটবল ও বেজবল নামক খেলা গুলো জাপানে লোকপ্রিয়।