৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা তৃতীয় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ সমাধান : শব্দের শ্রেণি
Welcome To ( ERIN )
৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ: শব্দপর শেণি নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা জানি ভাষার প্রাণ হচ্ছে শব্দ। শব্দের বয়বহার টিক না হলে বাক্য তৈরি করা যাবে না। আর বাক্য তৈরি না করতে পারলে ভাষা প্রকাশের মাধ্যম হবে না।
তাই নানান শব্দ ব্যবহার করে সঠিকভাবে আমরা সকলেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। করো নাম বোঝাতে আমরা শফিক, জব্বার , চট্টগ্রাম, বরিশাল, বিড়াল, পদ্মা, ভোজন ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করি।
কারো বা কিছুর নামের পরিবর্তে যখন ; তারা, আমি, আমরা ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করি। তখন আমরা গুণ বোঝাতে ব্যবহার করি কালো-সাদা, ভালো-মন্দ, কাঁচা-পাকা, সুন্দর, কুৎসিত, ছোটো, বড়ো ইত্যাদি শব্দ। যেকোনো কাজ বোঝাতে;আসা, করা, পড়া, যাওয়া, খাওয়া, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয় । আমরা কাজের গতি বোঝাতে ব্যবহার করি ; জোরে, ধীরে, সামনে, পিছনে,আস্থে,উপরে-নিচে ইত্যাদি শব্দ।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ
তাছাড়া কিছু শব্দ দিয়ে বাক্য বলার সময় ব্যবহার করে থাকি। তা হলো – দ্বারা,হতে,দিয়ে,থেকে, উপরে, চেয়ে ও, এবং আর,কিন্তু, ওহ আহা, ছিঃ ছিঃ ইত্যাদি। এসকল শব্দের ব্যবহার করে আমরাদের মনের ভাব প্রকাশ করি। এমনভাবেই তৈরি হয় ভাষার প্রকাশ, যা আমাদের মনের ভাবের সাথে সুশীল ভাষা প্রস্থান করে।
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষ্য খুঁজি কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষ্য শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও। (পাঠ্য বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর : ২২)
উত্তর: এখন বর্ষাকাল আজ প্রচুর ঝড় বইছে। আমার মা রহিমা আক্তার তাড়াহুড়ো করে সব কিছু ঘরে নিচ্ছেন। কিন্তু তার মনে নেয় বাহিরে রোদে দেওয়া আমসত্ত্ব টা আনতে। ছোট বোন লিজা তারও মনে নেই বৃষ্টি তে ভিজে গেল। বাড়ির ছাদের উপর ছিল আমসত্ত্ব টা,অনেক ঝড় হয়ে আমার ডেইজি ফুলের গাছটা ভেঙে গেছে। এই ফুল আমার খুব প্রিয় তবে লাল রংয়েরটা।
আমার মন অনেক খারাপ। আমার মা আমাকে বললো রিয়া মন খারাপ করিস না আরো ফুলগাছ এনে দিব। আমার মন এই শান্তনা মানছে না আমি গেলাম আমার বান্ধবী তোরসার বাসায় মন ভালো করার জন্য। কি আর করার সব গেল ঝড়ে। প্রিয় জিনিস নষ্ট হলে মন কি ভালো হয়?
অনুচ্ছেদ লিখে সর্বনাম বুদ্ধি- কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে সর্বনাম পদগুলোর নিচে দাগ দাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা: ২৪)
উত্তর: তাসনিম ছোটো ছোটো পা ফেলে বট গাছের দিকে যাচ্ছে। চোখ তার বোনের দিকে। বোন কতটা রেগে আছে সে বুঝার চেষ্টা করছে। তাসনিমের বয়স দশ হবে । এই বয়সের মেয়েরা চারদিকে কী হচ্ছে না হচ্ছে না বুজলেও খুব বুঝার চেষ্টা করে। রিতু তাসনিমকে বট গাছটির দিকে যেতে দেখলো। কিছুই বললো না ।
প্রত্যেক শিশুর এই একটা বিশেষ গুণ তারা ভয় পায় না সহজে। তাসনিম ও সেই বট গাছের নিচে গিয়ে বসলো। এই গাছের নিচে সবাই বসে না ভয়ঙ্কর দেখতে তাই।
তিনি জানেন, এই গাছের নিচে গেলে তাসনিম ভয় পায় না। এটা সম্ভবত ছোটদের কোনো অভ্যাস তারা ভয় পায় না। তাকে দেখে আমার শৈশব কালের কথা মনে হলো। একদিন গভীর রাতে ওয়াশরুমে যাবো তখন কাউকে বলিনি শব্দ পেয়ে বাবা উঠেন। আমি যাওয়ার পথে এক পাঁচ লম্বা সাপের উপর দিয়ে চলে গেলাম।
বাবা বললো রিয়া তুমি কি করেছো এটা। এখানে তো একটা সাপ আমি তো দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেছি ভয়ে। তাসনিম কে দেখে মনে হলো এতো সাহস আমার নাই তার মতো। এখন দুজন মজা করলাম। ঘুরলাম একসাথে তাঁকে বুঝালাম সব সময় সব জায়গাতে যেতে হয় না।
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষণ খুঁজি- কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ দেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও। (বাংলা পাঠ্য বই পৃষ্ঠা: ২৭)
উত্তর: প্রথমে বলি বগুড়ার দইয়ের কথা। বগুড়া শহর জুড়ে না এটা সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত খাবার। বগুড়ার দই এখন বর্তমানে তরল খাবারে সর্বোচ্চ মানের খাবার ।
এটি বাংলাদেশে অবস্থিত বগুড়া জেলার বিখ্যাত তাই এটার নাম বগুড়ার দই। ২০২৩ সালে বগুড়ার সরার দই (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সারা দেশে দই পাওয়া গেলেও সুস্বাদু ও গুণে অতুলনীয় হওয়ায় বগুড়ার দই বিখ্যাত দেশ ও দেশের বাইরে।
বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি মূলত ব্রিটিশ আমল থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পরে। ৬০ দশক থেকে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে শুরু করে মার্কিন মুল্লুকেও গেছে বগুড়ার দই। পূর্বেই এটি দেশ-বিদেশেও খ্যাতি অর্জন করেছে অনেক।
এই দই মিষ্টি প্রেমির জন্য। এটি জিআাই পণ্য ভেজাল বিহীন মান সম্পন্ন মিষ্টান্ন। আমরা দই নাম শুনলেই আগে বলি মামা বগুড়ার দই? বগুড়ার দইয়ের প্রতি সকলেরি বিশ্বাস আছে।
অনুচ্ছেদ লিখে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি- কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা: ৩১)
উত্তর: পাট দিয়ে নানা রকম কাজ করতে হয়।দৈনন্দিন জীবনে পাটের ব্যবহার ছাড়া আমরা চলতেই পারি না। এটি দিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছে। কারিগররা পাট দিয়ে আজকাল আধুনিক রুচিসম্পন্ন নানারকম ব্যবহারিক সামগ্রী তৈরি করছে।
যা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিদেশেও বেশ ভালো ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পাটশিল্পের উৎকৃষ্ট সৃজনশীল নমুনাই ও দেখা যায় দোলনা, ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি । দোলনা তৈরি করা আমাদের দেশ এখন চাহিদা বেশি।
এগুলো আমাদের দেশে যেমন ঐতিহ্য বজায় রাখে জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে, তেমনি বিদেশি অর্থ দেশে আনে । এর ফলে অর্থনেতিক উন্নত হয় দেশের। পাঠশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব বাঙালি জাতি সকলের।
বাংলাদেশের অনেক গ্রাম আছে ,শহর, এলাকা এবং শহরতলির কতশত নারী-পুরুষ আছে,। যারা কাজ করতে চাই অথচ কাজের অভাবে দিন দিন দারিদ্যতার শিকার হচ্ছে। সুপরিকল্পিত উপায়ে তাদের কাজের দ্বারা নিজের স্বপ্ন পূরণ এবং অন্যের চাহিদা পূর্ণ করা উচিত।
অনুচ্ছেদ লিখে অনুসর্গ খুজি- কোনো একাট বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে অনুসর্গ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও। (বাংলা পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৩৩)-৬ষ্ঠ শ্রেণি
উত্তর: বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ এখানে ঋতু পরিবর্তন খুবই অপরূপ। এখানে ছয়টি ঋতু নিয়ে আসে নানারকম অনুভূতি । এসব ঋতু পরিবর্তন হয় দুই মাস পর পর। ১২ মাসে ছয়টি ঋতু এদেশের প্রকৃতিতে অপরূপ বৈচিত্র্যের দেখা দেয়। বৈশাখ মাসে গ্রীষ্মকাল প্রচন্ড গরম দিয়ে এ ঋতু শুরু হয়। এর দু মাস পরেই শুরু হয় কালো মেঘের ঘুরঘুর শব্দ সমারোহে বর্ষা ঋতুর আগমন হয়। বর্ষা ঋতু শেষে আসে । নীল আকাশে পরিস্কার সাদা মেঘের আনাগোনা দিয়ে ‘শরৎ ঋতুর আবির্ভাব হয়। এ ঋতু শিউলি ফুলের যেটার ঘ্রাণে সারা দেশ ভরে যায়।
শরৎ ঋতুর কৃষকের সুখবর নিয়ে আসে । মাঠে মাঠে সোনালি ফসল দিয়ে ‘হেমন্ত’ ঋতুর আবির্ভাব ঘটে । এরপর শীত ঋতুর আগমন হয়। দক্ষিনা বাতাস নিয়ে আসে হিমেল হাওয়ার মাধ্যমে তার আগমন বুঝি । সবশেষে ঋতুরাজ বসন্ত’ ঋতুর আবির্ভাব হয়। এ ঋতুতে গাছে গাছে কচিডাল ও পাতার ঘ্রাণ এবং বিচিত্র পাখির ডাক পাওয়া যায়। এভাবে বাংলাদেশের সর্বত্র ষড়ঋতুর অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাই।
অনুচ্ছেদ লিখে যোজক পুঁজি- কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে যোজক শব্দগুলোর নিচে দাগ নাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা: ৩৫)-৬ষ্ঠ শ্রেণি
উত্তর: মন্দ কিছুর পরেই ভালো আসে। প্রতিটি ভালো কাজ সৌন্দর্যের বৈচিত্র নিয়ে আসে। মন্দ কাজ মানুষকে নতুন দিনের হাতছানি থেকে বঞ্চিত রাখে। মন্দকাজ আমাদের মনের স্নিগ্ধতা মেরে ফেলে । কিন্তু মন্দ কাজের বিচিত্র অনুভূতি তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপরেই প্রভাব ফেলে।
মন্দ কাজ আমাদের আরও দুষ্টকাজে লিপ্ত করে। ভালো কিছু থেকে আমাদের কর্মচঞ্চলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে মন্দ কাজকে ভাড়তে হবে। সকলের সুফল আরাম-আয়েদের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভালো – খারাপ। যার আয় ভালো সে ভালো কাজে লিপ্ত অনেকেই খারাপ কিছুতে লিপ্ত। আর দরিদ্রদের অনিশ্চয়তার মাধ্যমে আরো খারাপ কিছু হয়। এ পরিবর্তন আমাদের ভালো ও মন্দ উভয়ের মধ্যেই প্রভাব পড়ে। তাই ভালো কিছুর সদ্বব্যবহার করা উচিত আমাদের ।
অনুচ্ছেদ লিখে আবেগ খুঁজি- কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে আবেগ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা: ৩৮) -৬ষ্ঠ শ্রেণি
উত্তর: ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে যখন ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলো, আমি বললাম, বাহ! বাহ! চমৎকার খেলা হয়েছে তো। মাহিদ বলে, হুররে! মেসি খুব ভালো খেলাটাই খেলেছে। অপু বললো, আহারে, ব্রাজিলের জন্য দুঃখ হচ্ছেরে। জিয়া বললো, দূর ছাই! খেলা টা এমন হলো কেন। আমি তো নেইমারের ভক্ত , কি লজ্জা!
মাহিদ বললো, সাবাশ, মেসিকে প্রাণ ভরা অভিনন্দন। মাহফুজ বলল, ওমা! হৈচৈ বেরিয়ে গেছে। মাহিদ বলল, জয় আর্জেন্টিনার জয়।
জিয়া কষ্টে আত্মহারা হয়ে বললো ,আজ থেকে আমি জার্মানি ! ফাইনালে দেখা হবে।
৬ষঠ শ্রেণি নিয়ে আরেকটি সমাধান।