Welcome To ( Egnr Rakibul Islam Nayon)
ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ২য় অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদের সমাধান : শব্দের উচ্চারণ
- ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ২য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ শব্দের উচ্চারণ: নিচে একটি নাটক দেওয়া হলো। নাটকটির নাম ‘সুখথী মানুষ’। এটি মমতাজউদদীন আহমদের লেখা। তিনি একজন বিখ্যাত নাট্যকার।
তাঁর লেখা বিখ্যাত নাটকের মধ্যে আছে “স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা”, “কি চাহ শঙ্খচিল”। যাঁরা নাটক লেখেন, তাঁদের নাট্যকার বলে। নাটকে একজনের সঙ্গে অন্যজনের যেসব কথা হয়, সেগুলোকে সংলাপ বলে।
এই নাটকের সংলাপে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এই কথা বা সংলাপ যাদের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়, তাদের বলে চরিত্র। “সুখী মানুষ’ নাটকে অনেকগুলো চরিত্র আছে।
তুমি ও তোমার সহপাঠীরা এগুলোর মধ্য থেকে একটি করে চরিত্র বেছে নাও এবং চরিত্র অনুযায়ী সংলাপ পাঠ করো। সংলাপ পাঠ করার সময়ে প্রমিত উচ্চারণের দিকে খেয়াল রেখো। (পাঠ্য বইয়ের ১৪ নাম্বার পৃষ্ঠা)
ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ২য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ
শব্দের উচ্চারণ: প্রমিত ভাষা মূলত সর্বজনীন বাংলা ভাষা।এই ভাষায় উচ্চারণ ঠিকমতো করতে হয় সবকিছু খেয়াল রাখতে হয় নাটক পড়ার সময়। “সুখী মানুষ’ নাটক থেকে কিছু শব্দ ডান আর বাম কলামে দেওয়া হলো।
শব্দগুলোর উচ্চারণ ঠিক কেমন হবে, ডান কলামে তা দেখানো হয়েছে। তোমাদের উচ্চারণ সঠিক হচ্ছে কি না, এখান থেকে মিলিয়ে নাও। (পাঠ্য বইয়ের ১৯ নম্বর পৃষ্ঠা)
উপস্থিত বক্তৃতায় প্রমিত ভাষার চর্চা ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা
তোমরা প্রত্যেকে একটি করে বিষয় লিখে শিক্ষকের কাছে জমা দাও। একেকটি বিষয় নিয়ে একেক জনকে এক মিনিট করে কথা বলতে হবে। কথা বলার সময়ে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করো: (মূল বইয়ের ১৯ নম্বর পৃষ্ঠা)
নিচে একটি উপস্থিত বক্তৃতা দেওয়া হলো প্রমিত ভাষা ব্যবহার করে। এটা পড়ার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে কিভাবে কি ব্যবহৃত হয়েছে।
মাতৃভাষার কিছু ঘঠনার ধারণা
আজ ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতির এক বিশেষ দিন। ১৯৫২ সালের এ দিনে রচিত হয়েছিল এক গৌরবময় ও স্মৃতিময় ইতিহাস। এ ইতিহাস জাতির ঐক্য ও সংহতির। এ ইতিহাস বাঙালির দুর্বার চেতনার। ১৯৫২ সালের এ দিনে বাঙালি জাতি রক্ত দিয়েছিল আমাদের এই মাতৃভাষা বাংলার জন্য।
এই আনদোলন শুরু হয় ১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ। দীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের বাংলা ভাষা কে কেড়ে নেওয়া হবে জানা যায়। ১৯৫২ সালের দিক পূর্ব বাংলার দুই দফায় বাংলা ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
বঙ্গবন্ধুর তাৎপর্য
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯৪৯ সালে। এক নাগাড়ে প্রায় আড়াই বছর জেলে ছিলেন। তিনিই ভাষা আন্দোলনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন।জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভাষা আন্দোলন কারীদের উপর গুলি বর্ষণ হলো।
সেই ভাষা আন্দোলনে গুলি তে আহত, নিহত হোন আমাদের বাংলার ছেলেরা। রফিক, জব্বার, বরকত, শফিক আরো ছাত্রদলের অনেকেই আহত, নিহত হোন। সেদিনের স্লোগান ছিল, আমাদের দাবি মানতে হবে,জয় বাংলা। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই,আমাদের দাবি মানতে হবে।
অবশেষে এতো এতো ভাইয়েরার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভাষা। যাকে আমরা এখন বলি মাতৃভাষা,নিজের ভাষা।
মাননীয় সভাপতি,
আমি একজন নতুন প্রজন্মের হওয়ায় ১৯৫২-এর স্ব ভাষা আন্দোলন দেখিনি। কিন্তু মাতৃভাষা দিবস আমাকে আলোড়িত করে, নবচেতনায় করে উব্দুদ্ধ। সর্বোপরি বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে মনে প্রশ্ন উঠে। ভাষার স্বাধীনতা অর্জন করলেও ভাষা দিবসের তাৎপর্যকে সমুন্নত রাখতে কি আমরা সক্ষম হয়েছি?
বাংলা ভাষায় কেমন দক্ষ আমরা বাঙালি
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা ভাষা পেয়েছি কিন্তু সেটাকে আঁকড়ে ধরতে পারিনি । আমাদের দেশে এখন প্রজন্মের সবাই ইংরেজি বুঝে কিন্তু কিছু সাধারণ বাংলা বললেই আর পারেনা। এখন বর্তমানে বাংলা তে কত জন ভালো বক্তৃতা দিতে পারে?
আমরা ভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরলে দেখা যাবে সেই দিবস সম্পর্কে আমরা অবগত নই। আমরা জানিনা এটা কিভাবে অর্জিত হয়েছে। আজ এই বাংলা ভাষা নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হলে কতজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে?
এই ভাষা আমাদের আর্শীবাদ, না হয় আজ উর্দু হতো আমাদের মাতৃভাষা। আবার বর্তমান নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের বাংলা ভাষা পছন্দের তালিকা তে নাই। তারা পছন্দ করে হিন্দি, ইংরেজি। নিজের ভাষা কে ভালো ভাবে ইউজ করছে না।
নতুন করে দেশ গড়ার লক্ষ্যে আসুন নিজের ভাষা কে ভালোবাসি। এবিশেষ দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করি- আজ থেকেই সবাই শুরু হবে আমাদের দেশ গড়ার কাজ। একক হয়ে মিলে একসাথে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে দেশকে আমরা গড়বো।
সকল কালো শক্তি ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করব এবং দারিদ্যতার অবসান ঘটাব। তাহলেই আমাদের সেই আন্দোলন তার প্রকৃত তাৎপর্য লাভ করবে। ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর শহীদ ছাএদের ও সকল বাঙালির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ।
এই ছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ২য় অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদের সমাধান। প্রথমে তোমরা পাঠ্য বইয়ের পুরোটা নাটক পড়বা।ভালো করে প্রমিত ভাষা খেয়াল রাখতে হবে পড়ার সময়। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় সাফল্যের চাবিকাঠি তোমরা পড়ার সময় প্রতি সারি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
বক্তৃতার গুরুত্ব
সর্বজনীন ভাষা হলো প্রমিত ভাষা। সব অঞ্চলের ভাষা সবাই বুঝে না একেক জায়গার একেক ভাষা। বই গুলো মূলত প্রমিত ভাষায় লিখা হয় যেন সবাই বুঝতে পারে। যার কারণে প্রমিত ভাষা সর্বজনীন।
“সুখী মানুষ” নাটকের প্রতিটা সংলাপেই প্রমিত ভাষায়। নাটকের প্রথম সূচনায় বলা হয়েছে সব কিছু খেয়াল রেখে পড়ার জন্য।
বক্তৃতা দিতে হলে প্রমিত ভাষায় লিখতে ও বলতে হবে। আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। আমরা সাধারণত সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি নিজের অঞ্চলের ভাষা যার জন্য আমাদের সঠিক বক্তৃতা হয়না।
মমতাজউদদীন আহমেদ নাটকেও প্রমিত ভাষা ব্যবহার করেছেন। তাঁর নাটকের শেষে তোমাদের একটি কাজ দিয়েছেন। যেটা উপস্থিত বক্তৃতা কেমন হয় বা কিভাবে প্রমিত ভাষা দিয়ে লিখে বলা যায়।
আমাদের প্রত্যেকেরি উচিত বাংলা প্রমিত ভাষা গুলো কে চিনা, জানা। প্রমিত ভাষা কাকে বলে সেটা জানতে হবে। এটি কোথায় ব্যবহৃত হয় জানতে হবে।
বক্তৃতা দিতে হলে অবশ্যই জড়তা কাটিয়ে উঠতে হবে। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা যাবে না।
বক্তৃতার বিষয়ে আলোচনা
কোন বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছো সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যে তথ্য বক্তব্যের বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক বা মিল থাকে। সব কিছু লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্রোতা তোমার অঞ্চলের না শুধু একটা প্রোগ্রামে অনেক অঞ্চলের মানুষ থাকে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন সর্বজনীন বুঝতে পারবে এমন ভাষা ব্যবহার করা। প্রমিত ভাষা হলো এমন সব জনগণের সুবিধা হয়।
উচ্চারণও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেটার কারণে শ্রোতারা ভুল শুনতে পারে। তুমি উচ্চারণ ঠিক রেখে কথা বলতে হবে না হয় মানুষ ভুল বুঝবে।যেমন: ছেলে কে যদি তুমি শেলে বলো কেউ বুঝতে পারবে না গুটিকয়েক জনগণ ছাড়া। তোমাকে সহজ ভাষা, সহজ ভাবে উচ্চারণ করতে হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা এরিনের পক্ষ থেকে সমাধান । ২য় অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদের সমাধান দেওয়া হলো ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমা করবেন। আমাদের এখানে একাডেমিক সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে লক্ষ রাখুন এরিন এ। ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ের সকল উত্তর মালা। এবং অনুশীলন পেতে ওয়েবসাইটের একাডেমিকে ক্লিক করুন।
উপস্থিত বক্তৃতার জন্য কিছু নমুনা বিষয়
১. তোমার স্কুলের জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।
২. ‘মে দিবসের (শ্রমিক দিবস) তাৎপর্য’ নিয়ে উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।
৩. মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।
৪. মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।
৫. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তৃতা যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম।
৬. ফেসবুক ব্যবহারের ভালো ও মন্দ দিকগুলো নিয়ে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।
৭. বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তৃতা।