ভৌত রসায়ন ১ সাজেশন নাম্বার ৪: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এরিনে আপনাকে স্বাগতম। ভৌত রসায়ন -১ এর এটি ৪ নাম্বার সাজেশন দেওয়া হলো। অনার্স প্রথম বর্ষের বই এটি। খুব জটিল ধরা যাবেনা বিষয়টিকে আমরা এটি পড়লেই বুঝতে পারবো এটি মূলত একাদশ শ্রেণির রসায়ন বইয়ের বেসিক টপিক নিয়ে বর্ননা করেছে। তাই এই আলাদা আলাদা সবগুলো সাজেশন আশা করি আপনার ফাইনাল পরীক্ষার জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে। এটি ব্যতিক্রম বই অনুযায়ী করা হয়েছে এবং বোর্ড প্রশ্ন থেকে এনালাইসিস করে লিখা হয়েছে। সকলেই এটি পড়ার সাথে আরও তিনটি সাজেশন দেওয়া হলো এই বিষয়ের জন্য পড়ে নিবেন আশা করি ভালো একটি ফলাফল পাবেন। সাথে পাচ্ছেন পিডিএফ। পিডিএফ পেতে নিচের দিকে স্ক্রল করবেন। ভৌত রসায়ন সকল প্রকার রাসায়নিক সংকেত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভৌত রসায়ন ১ সাজেশন নাম্বার ৪:
খ বিভাগ প্রশ্ন ও উত্তর
১. অণুর গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তি বলতে কি বুঝ? অথবা, অণুর গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তি বলতে কি?
উত্তর : গতিশক্তি: বস্তু কণার গতির কারণে যে শক্তির সৃষ্টি হয় তাকে বস্তুকণাটির গতিশক্তি বলে। মনে করি, একটি বস্তুর ভর m এবং গতিবেগ ∨ হলে এর গতিশক্তির সমীকরণ হবে,
Ex=mv²
বা, K.E=mc²
এখানে, v = c (অর্থাৎ বর্গমূল গড় বর্গবেগ ধরা হয়েছে)
স্থিতিশক্তি: কোনো পদার্থ তার নিজস্ব অবস্থানে থেকে যে
শক্তি লাভ করে তাকে ঐ পদার্থের স্থিতিশক্তি বলা হয়।
স্থিতিশক্তিকে P.E বা Vx দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সাধারণত কোনো বস্তু ভূ-পৃষ্ঠ হতে h-উচ্চতায় থাকলে তখন তার স্থিতিশক্তি P.E hg অপরদিকে কুলম্বের স্থিতিশক্তির সমীকরণ,
V = 9192 4 প্রায়
এক্ষেত্রে,
৭। ও ৭₂ হলো বস্তুকণা দ্বয়ের চার্জ,
- হল বস্তুকণা দ্বয়ের মধ্যবর্তী দূদ্রত্ব,
৪০ = ধ্রুবক = 8.85 × 10-12 c²jn
2. কোয়ান্টামিত আণবিক শক্তি
উত্তর: আণবিক শক্তি তিন প্রকার: যথা- ১. আবর্তন শক্তি, ২. কম্পন শক্তি এবং ৩. ইলেকট্রনিক শক্তি।
১. আবর্তন শক্তি: অণুর কেন্দ্রবিন্দু বা অন্য যেকোনো অংশে অণুর আবর্তনের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয় সেই প্রকার শক্তিকে আবর্তন শক্তি বলে। এর আবর্তন শক্তি ক্ল্যাসিকাল বলবিদ্যার ধারণায় নির্ণয় করা হয়েছে। কিন্তু সিস্টেমটি আণবিক হলে ক্ল্যাসিকাল বলবিদ্যা অনুসারে নির্ণীত শক্তি এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে এ জাতীয় সিস্টেমের কতগুলো নির্দিষ্ট মানের আবর্তন শক্তিস্তর থাকে। অণুর আবর্তনীয় শক্তিকে E, দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি দ্বিপরমাণুক অণুর আবর্তনীয় শক্তি E₁ = h²/87 [J(J+1)] যেখানে h = প্লাঙ্ক ধ্রুবক এবং। কার্টেসিয়ান অক্ষে জড়তার ভ্রামক এবং J = 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি।
২. কম্পন শক্তি: একটি অণুতে সমযোজী বন্ধন সংকুচিত বা প্রসারিত হলে অথবা বক্র হলে কম্পন শক্তি উৎপন্ন হয়। অণুর কম্পনীয় শক্তিকে দ্বারা প্রকাশ করা হয় কম্পন শক্তির সমীকরণ নিম্নরূপ:
Ev=hv(v+2); তবে = V 1 2π μ মান বসিয়ে পাই,
h √(+)
এখানে,
কম্পন কোয়ান্টাম সংখ্যা = 0.1, 2, 3 ইত্যাদি
দোলকের ফ্রিকুয়েন্সি = v
লঘুভর = মিউ
৩. ইলেকট্রনিক শক্তি: যে শক্তি দ্বারা বন্ধন বিভাজিত হয়ে ইলেকট্রন বণ্টিত হয় বা নিম্ন অণুর শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে দ্র ইলেকট্রন গমন করে তাকে ইলেকট্রনিক শক্তি বলে। দুই ইলেকট্রনিক শক্তিস্তরের মধ্যে পার্থক্য 450 Kj/mol.
৩. গ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: নিম্নে গ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে পার্থক্যগুলো দেওয়া হলো :
গ্যাস-
বাষ্প-
গ্যাস . সন্ধি তাপমাত্রার উপরে পদার্থের বায়বীয় অবস্থাকে গ্যাস বলে।
বাষ্প . সন্ধি তাপমাত্রার নিচে পদার্থের বায়বীয় অবস্থাকে বাষ্প বলে।
গ্যাস. সংকট তাপমাত্রার উপরে শুধুমাত্র চাপ প্রয়োগে সংকুচিত করে তরলে পরিণত করা যায় না।
বাষ্প. এ অবস্থায় শুধুমাত্র চাপ প্রয়োগ করে পরিণত করা যায়। তরলে
গ্যাস . 31.1°C তাপমাত্রার উপরে CO₂ গ্যাস।
বাষ্প: 31.1°C নিচে CO₂।
৪. সংকট তাপমাত্রা, সংকট চাপ ও সংকট আয়তন বলতে কি বুঝ? অথবা, সংকট তাপমাত্রা, সংকট চাপ ও সংকট আয়তন কি?
উত্তর: (ⅰ) সংকট (সন্ধি) তাপমাত্রা: যে তাপমাত্রার উপরে চাপ প্রয়োগ করেও কোনো গ্যাসীয় পদার্থকে তরলিত করা যায় না। অথচ সে তাপমাত্রা ও তার নিচে সে গ্যাসকে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করলে তরলে রূপান্তরিত করা যায়, তাকে সে পদার্থের ক্রান্তি বা সন্ধি তাপমাত্রা বলে।
(ii) সংকট চাপ (সন্ধি চাপ) : কোনো গ্যাসকে তার ক্রান্তি
বা সংকট তাপমাত্রায় তরলিত করতে সর্বনিম্ন যে চাপ প্রয়োগ করতে হয়, তাকে সে পদার্থের ক্রান্তি বা সঙ্কি তাপমাত্রা বলে।
(iii) সংকট বা (সন্ধি) আয়তন: কোনো পদার্থের ক্রান্তি
বা সংকট তাপমাত্রা ও চাপে তার এক মোল পরিমাণের আয়তনকে তার সন্ধি বা সংকট আয়তন বলে।
৫. আদর্শ দ্রবণ ও অনাদর্শ দ্রবণের মধ্যে পার্থক্য লিখ। [জা.বি. ২০২০]
উত্তর: নিচে আদর্শ দ্রবণ ও অনাদর্শ দ্রবণের মধ্যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হলো:
আদর্শ দ্রবণ :
১. আদর্শ দ্রবণের অণুগুলো পরস্পরের সাথে সমান আকর্ষণ বল দিয়ে আবদ্ধ থাকে। কাজেই A ও B উপাদান দুটি দিয়ে কোনো আদর্শ দ্রবণ প্রস্তুত করলে A ও A, B ও B এবং A ও B অণুগুলোর মধ্যকার আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল সব সময় সমান হয়।
২. এ দ্রকা প্রস্তুতকালে কোনো তাপ শোষিত বা নির্গত হয় না। তাই এ দ্রবণের ক্ষেত্রে এনথালপির পরিবর্তন শূন্য হয় অর্থাৎ △H=Oহয়।
৩. দ্রবণের মোট আয়তন উপাদানগুলোর আয়তনের যোগফলের সমান হয়। V দ্রবণ = VA + VB সেজন্য দ্রবণ প্রস্তুতির ফরে আয়তনের কোনো হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না। অর্থাৎ, △V = ০ হয়।
৪. এ দ্রবণের উপাদানগুলোর মধ্যে কোনোরূপ আন্তঃক্রিয়া হয় না।
৫. এ দ্রবণের উপাদানগুলোর বাষ্পীয় দশায় গমন প্রবণতা তাদের মোল ভগ্নাংশের সমানুপাতিক হয়।
অনাদর্শ দ্রবণ :
- A. দ্রবণগুলো যেকোনো তাপমাত্রা এবং সংযুক্তিতে রাউল্টের সূত্র মেনে চলে না।
- B. দ্রবণের সদৃশ তথা অসদৃশ অনুগুলোর মধ্যকার আন্ত ঃআণবিক আকর্ষণ বল সমান হয় না।
- C.. দ্রকা প্রস্তুতির সময় তাপ উৎপন্ন বা শোষিত হয়। সেজন্য এনথালপির পরিবর্তন △H=+Ve বা, ∆H =-Ve হয়। অর্থাৎ ∆H≠0 হয় না।
- D.. উপাদানগুলোর মিশ্রণের ফরে দ্রবণের মোট আয়তনের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। এক্ষেত্রে △V ≠ 0 হয়।
- E.. দ্রবনের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া ঘটে
- F. আদর্শ ও অনাদর্শ দ্রবণের পার্থক্যগুলো লিখ।
৬. ph কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: P ^ prime prime : কোনো দ্রবণের H’ আয়নের মোলার ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের P ^ H বলে।
অর্থাৎ P ^ H = log_10[H ^ 4]
বৈশিষ্ট্য:
- ১. P ^ H এর মান হতে যৌগের অম্লত্ব এবং ক্ষারকত্ব সম্পর্কে জানা যায়।
- ২. P ^ H এর মান যত কম হবে দ্রবণের Acidity তত বেশি হবে।
- ৩. P ^ H এর মান যত বেশি হবে দ্রবণ তত ক্ষারীয় হবে।
- 8. P ^ H এর মান 7 হলে দ্রবণ নিরপেক্ষ হবে।
৭. [জা.বি. ২০১৪] (i) দ্রাব্যতা গুণফল ও আয়নিক গুণফল;
উত্তর: (ⅰ ) দ্রাব্যতা গুণফল ও আয়নিক গুণফল: দ্রাব্যতার
গুণফল : সম্পৃক্ত দ্রবণে আয়নিক গুণফলকে দ্রাব্যতার গুণফল বলে। অথবা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় অল্প দ্রবণীয় লবণের সম্পৃক্ত দ্রবণে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নে এর ঘনমাত্রার গুণফলকে দ্রাব্যতা গুণফল বলে। দ্রাব্যতার গুণফলকে Ksp দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
.. Ksp = [ক্যাটায়ন] × [অ্যানায়ন]
যেমন: AgCl একটি স্বল্প দ্রবণীয় লবণ। জলীয় দ্রবণে এটি নিম্নভাবে বিয়োজিত হয়ে সাম্যাবস্থায় থাকে।
AgCl Ag + CI
এখন ভর ক্রিয়ার সূত্রানুসারে সাম্যধ্রুবক,
K = [Ag][CI] [AgCl] বা, [Ag+] [Cl] = Ks x [Agcl]
কঠিন সিলভার ক্লোরাইডের ঘনমাত্রার স্থির তাপমাত্রায়
ধ্রুবক থাকে অর্থাৎ [AgCl^ – ]= 1
[Ag^ + ]*[Cl^ – ]= Ksp
এখানে, Ksp একটি ধ্রুবক আর একে সিলভার ক্লোরাইডের
দ্রাব্যতার গুণফল বলে।
আয়নিক গুণফল : তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রেখে দ্রবণে ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নের ঘনমাত্রার আয়নিক গুণফল বলা হয়। একে K দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন :
অনার্স ১ম বর্ষ ভৌত রসায়ন-১ pdf download শর্ট সাজেশন
ভৌত রসায়ন -১ অনার্স প্রথম বর্ষ প্রশ্ন ও উত্তর ( PDF)
অনার্স ১ম বর্ষ ভৌত রসায়ন ১ সাজেশন নাম্বার ৩ pdf download প্রশ্ন ও উত্তর
এই গুরুত্বপূর্ণ ক বিভাগের প্রশ্ন ও উত্তর গুলো পিডিএফ পেতে ক্লিক করুন ANSWER SHEET এ। সাথে আপনার ডিপার্টমেন্টের সকল নতুন সাজেশন আপলোডের সাথে নোটিফিকেশন পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নোটিফিকেশন আইকন টি অল করে রাখুন ধন্যবাদ।