Welcome To (ERIN)
পঞ্চম অধ্যায়ের সমাধান বাংলা পঞ্চম পরিচ্ছদ ৫ম ষষ্ঠ শ্রেণীর
পঞ্চম অধ্যায়ের সমাধান বাংলা ৫ম পরিচ্ছেদ: কল্পনানির্ভর লেখা গুলো মূলত বাস্তব জীবনের বিপরীত। সাধারণত বাস্তব ঘটনার চেয়ে অবাস্তব ঘটনার প্রাধান্য থাকে বেশি। এই লেখা গুলো মানুষকে আনন্দ দেয় কল্পনায়।
যা উপকথা, রুপকথা, অবাস্তব কাহিনি , কল্পকাহিনি ইত্যাদিকে বিষয় করে কল্পনানির্ভর ৭ লেখা রচিত হয়ে থাকে।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত ‘সাত ভাই চম্পা’ রচনাটি রূপকথা, অর্থাৎ কল্পনানির্ভর লেখা। এখানে অবাস্তব ঘটনার উদাহরণ হিসেবে অনেক গুলো অংশ ছোটো রানির সন্তান হিসেবে কাঁকড়া ও ইঁদুরের কল্পকাহিনি এসেছে।
এছাড়াও সাতজন ছেলে ও মেয়ে একজন সাতটি চাপা ফুল ও চাপা ফুলে রূপান্তর এটাও কল্পকাহিনি। তারপর সেই সাতজন চাঁপা ফুল হয়ে মানুষের মতো কথা বলার ব্যাপারটাও রূপকথা। এগুলোতে শিশুরা অনেক মজা পান পাড়তে ও শুনতে রুপকথার গল্প হলেও।
পঞ্চম অধ্যায়ের বাংলা সমাধান ৫ম পঞ্চম পরিচ্ছেদ
‘সাত ভাই চম্পা’ গল্পটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: এক রাজার ছিলেন সাত রানি। তাদের কারোর দেমাগে মাটিতে পা পড়ে না। কিন্তু তাদের মধ্যে ছোটো রানি ছিলেন শান্ত স্বভাবের। তাই রাজা ছোটো রানিকে বেশি ভালোসতেন।
কিছুদিন পর যখন রাজার সন্তান হচ্ছে না। তিনি চিন্তায় পড়লেন এতো সম্পদ কে ভোগ করবে। গুটিকয়েক দুিন পর খবর হয় ছোট রানির ছেলে হবে। রাজা খুব খুশি। খুশিতে রাজার আদেশে পাইক-পায়দারা রাজ্যে মিষ্টির রাজ ভান্ডার খুলে দিলেন। যার যত ইচ্ছে খাবে।
বাকি রানিরা তো হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে। ছোট রানির আর রাজার কোমরে এক সোনার শিকল বেধে রেখেছে। আর বললো ছেলে হলে নাড়া দিও আমি এসে ছেলে দেখে যাব।
ছোট রানির ছেলে হবে ভাবছে কে আঁতুড়ঘরে যাবে। বড় রানিরা বললো তারা যাবে। তারা গিয়েই শিকল নাড়া দিলেন। কিন্তু রাজা ঢাক ঢোল নিয়ে এসে কিছুই পান নি। চলে গেলেন। আবার নাড়া দিল শিকল এবারও দেখেন কিছু না। রাগে রাজা বললেন ছেলে না হলে সব রানি কে আমি কেটে ফেলবো।
তারপর একে একে ছোট রানির সাত ছেলে আর এক মেয়ে হলো। আতুড়ঘর আলোকিত হয়ে গেল তাদের সৌন্দর্যে। ছোট রানি বললো কি হয়েছে দেখালি না। বড় রানিরা ব্যঙ্গ করে বলে তোর হাতি হয়েছে। সাথে ইদুর আর কাঁকড়া। এসব শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ছোট রানি।
তারপর শিকল নাড়া দিলেন রাজা এসে দেখেন বড় রানিরা ইদুরেই দেখালেন। রাজা রাগে আগুন হয়ে রানিকে রাজপুরী থেকে বের করে দেয়।
বড় রানিরা সুখ রাখতে পারেনা তারা এমন খুশি। আর ছোট রানি কষ্টে কষ্টে রাস্তায়। এভাবে রাজার দিন আর ভালো যাচ্ছে না। রাজার বাগানেও ফুল ফুটে না।
কিন্তু হঠাৎ মালি এসো বললো সাতটি চাঁপা গাছে ও একটি পারুল গাছে টলটলে ফুল হয়েছে। মালি রাজার জন্য ফুল আনতে গেল পারুল সাত ভাই কে ডাক দিলে তারা না করে। মালি গিয়ে রাজাকে সব বলে তখন রাজা আসে নিতে। তখনও দেন নি রাজা কে ফুল সাত ভাই বললো বড় রানি আসুক।
রাজা বড় রানিকে ডাকলেন। এভাবে একে একে ৬ রানিকে নিয়ে আসে। অবশেষে ছোট রানিকে আসতে বললেন। রাজা খুঁজে বের করলেন ছোট রানিকে। রানির অবস্থা ভালো না। নিয়ে আাসার সাথে সাথে সবাই বলে উঠলো মা মা।
সকলেই অবাক এভাবে ঝাপিয়ে পড়া দেখে। রাজার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। বড় রানিদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হলো। তারপর ছোট রানি কে নিয়ে রাজপুরীতে গেলেন।
অধিকতর অনুশীলনের জন্য একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ :দলগত ভাবে এগুলো সমাধান করো। উপকথা কাকে বলে? ছবি দেখে একটি উপকথামূল ছড়া লেখো। মনে করো ছবিতে একটি বোয়াল মাছ আছে। আরেকটা বাচ্চা আছে।
উত্তর: পশু-পাখি নিয়ে রচিত গল্পকে উপকথা বলে।
আয়রে আয় টিয়ে নায় ভরা দিয়ে, না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে, তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে, ওরে ভোঁদড় ফিরে চা, খোকার নাচন দেখে যা।
কাজ-২: ছবি দেখে উপকথা লেখো। মনেকরো ছবিটিতে একটি ভানচকারী বৃদ্ধ সিংহ।
উত্তর: পশুরাজ সিংহ সে প্রতিদিন শিকার করতে যেত। সে খুব বুড়ো হয়ে পড়েছিল। দুর্বল শরীরে শিকার করতে যাওয়া তার। কঠিন হতো। তাই চালাকি একটা পদ্ধতি বের করলো বুদ্ধির জোরে খাদ্য জোটাতে হবে। সে অসুস্থতার ভান করে গুহায় পড়ে থাকল।
তার লক্ষ্য প্রতিদিন তাকে কেউ না কেউ দেখতে আসবে। রোজই সে যখন রোগী খোঁজখবর নিতে গুহায় ঢোকে আর সিংহমশাই খপ করে তাকে ধরে খেয়ে ফেলে। এভাবে অনেক জন্তু-জানোয়ার পশুরাজের বুদ্ধির শিকার হলো। চতুর শিয়াল কিন্তু ব্যাপারটা ঠিকই ধরতে পেরেছিল। সে ধীর পায়ে গুহার অদূরে দাঁড়িয়ে গলাখাকারি দিয়ে শুধাল রাজামশাই, আজ কেমন বোধ হচ্ছে?
সিংহটি
অভিনয় করে সবল গলায় জবাব দিলো একদম ভালো নয় , একদম ভালো নয়। তবুও আমার কপাল ভালো যে তুমি খোঁজ নিতে এসেছো । একা কি সব করা যায় আমি একেবারে হাঁপিয়ে গেছি। আসো ভিতরে আসো বসো ভায়া, বাইরে দাঁড়িয়ে কেন? চতুর শিয়াল তো হেসে বলল: আসতাম রাজা ঠিকই কিন্তু ভরসা পাচ্ছি না তো। রাজামশাই, সবার পায়ের ছাপগুলো দেখা যায় সবই ভেতরমুখো। যারা ভেতরে গেছে তাদের কাউকেই কি আর বাহিরে আসতে দন নি?
কাজ:৩– মনে করো ছবি তে একটি বুড়ী আর শেয়াল। বুড়ীটির জঙ্গলের পাশে বাড়ি এটি দেখে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করো।
উত্তর:
একদা ছিল এক বুড়ী। তার বাড়ি ছিল জঙ্গলের পাশে ও সাথে ছিল একটা বিশাল নদী। তার ছিল একটি ছোট মুরগির ফার্ম। বুড়ির ছিল আরেকটি কুকুর।
বুড়ী প্রতিদিন মুরগি গুলো সকালে কামার থেকে বের করে এবং রাত হলেই ঢুকিয়ে ফেলে। রাতের বেলা বুড়ীর কুকুর টা পাহারা দেয় কামার টা। একদিন রাতে হঠাৎ কুকুরটি অসুস্থ হয়ে যায়। সারাদিন ক্লান্ত থাকার কারণে তারাতাড়ি ঘুমিয়ে গেছে।
এদিকে শেয়াল তো দৈনিক একবার করে আসে লোভনীয় মুরগি গুলো দেখতে। কিন্তু খেতে পারে না কুকুরটার কারণে। সে তো আজ ফাঁকা পেল আস্তে করে যাচ্ছে কামারের দিকে। তখনি বুড়ী আওয়াজ পেয়ে উঠে গেছে। তখন দেখে কুকুর ঘুমাচ্ছে আরামে আর শেয়ালটা দৌড়ে পালালো।
সকালে কুকুরটিকে খাবার দেয়নি যার কারণে কুকুরটি হুট করে মারা গেল। শেয়ালের তো আনন্দ লাগছে এখন কেউ নেই। বুড়ী চিন্তায় পড়ে গেল। সারা রাত বসে থাকে কামারের কাছে। এভাবে শেয়ালের হচ্ছে না তো চতুর শেয়াল বুদ্ধি করলো সে বুড়ীর কামার দেখবে।
বুড়ী ও শেয়াল
তখন সে বুড়ীর কাছে আসলো আর বললো বুড়ী মা আমি তোমার কামার পাহারা দিবো রাতে। বিশ্বাস করো আমি কিছু খাবো না তুমি আমাকে তিন বেলা খাবার দিও। এভাবে বিশ্বাস করে নিল সব বুড়ীমা। দায়িত্ব পেয়ে আরো খুশি শেয়ালমামা। একরাত গেল একে একে তিনরাত একটাও মুরগি খাইনি।
বুড়ী বিশ্বাস করতে লাগলো এই শেয়াল তার বন্ধু হবে। দশ দিন হওয়ার পর সে আর লোভ সামলাতে পারলো না। একটি মুরগি খেয়ে নিল জঙ্গলের মাঝখানে গিয়ে। পরের দিন বুড়ী গুনতে বললো সে মিছামিছি সঠিকটা বললো।
এভাবে হঠাৎ একদিন বুড়ী নাতির বাড়ি যাবে। শেয়াল বললো যাও আর আমাকে বিশ্বাস করো সব ঠিক পাবে। চলে গেল বুড়ী সেদিন সব মুরগি খেয়ে চলে গেল শেয়াল। তার লক্ষ্য পূরণ তারপর বুড়ী এসে দেখে কিছুই নাই।
অনুশীলন করার জন্য কিছু কাজ
কাজ:৪- মনে করো একটি যাদুকরী পরি আর একটি গরীব বালিকা তা নিয়ে অনুচ্ছেদ লেখো।
কাজ:৫– মনে করো একরি ছবি তে একটি নৌকা আর কিছু মানুষ তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
আজকের সেশন ছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা নির্দেশিকা নতুন কারিকুলাম বাংলা সমাধান ২০২৪।
আজকের সেশন ছিল পঞ্চম অধ্যায়ের সমাধান পঞ্চম পরিচ্ছদ।
Comments ২