বলবিদ্যা প্রথম খন্ড অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন- ১: বিষয় কোড: ২১২৭০১. সাজেশনের সকল প্রশ্ন ও উত্তর পত্র সহ দেওয়া হল৷ অনার্স প্রথম বর্ষ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বলবিদ্যা প্রথম খন্ডের সাজেশন দেওয়া হল। আপনাদের একটু উপকার করার জন্য সাবলীল ভাষায় এই সাজেশন টি তৈরি করা হল। এটি সম্পুর্ন নতুন সিলেবাসের আলোকে রচিত হল। সংকিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সাজেশন এটি। বলবিদ্যার প্রতিটি অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন ও সমাধান দেওয়া হয়েছে। সকল প্রকার সাজেশন পেতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। সাথে সকল বিষয়ের নির্দেশিকা পেতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। তাহলে আজকের সেশন শুরু করা হলো যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অনার্স প্রথম বর্ষ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য। আশা করি এটি পড়লে ফাইনাল পরীক্ষার সিলেবাস সম্পূণ শেষ হয়ে যাবে। অনার্সের সকল বিষয়ের উপর সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
বলবিদ্যা প্রথম খন্ড অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন- ১ সংকিপ্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর:
১. ভেক্টরের ভেক্টর ত্রিগুণন কি? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : তিনটি ভেক্টর রাশির গুণফলপ যদি একটি ভেক্টর রাশি পাওয়া যায়, তাহলে এ ধরনের গুণফল কে ভেক্টরের ভেক্টর ত্রিগুণন বলে।
২. পরিমাপ কি?
উত্তর : কন ভৌত রাশির পরিমাণ নির্ধারণকে পরিমাণ বলে।
৩. মৌলিক একক কাকে বলে?
উত্তর : মৌলিক রাশি পরিমাপের জন্য যে পরিমাপের জন্য যে পরিমাপের একক ব্যবহার করা হয় তাকে মৌলিক একক বলে। উদাহরণ : ভর,দৈর্ঘ্য, সময় মৌলিক রাশি। এদের একক মিটার, কিলোগ্রাম, সেকেন্ড।
৪. মৌলিক একক গুলোর নাম লিখ। [ জা. বি. ২০১৮]
উত্তর : মৌলিক একক গুলো হলো- মিটার, কিলোগ্রাম, সেকেন্ড, কেলভিন, অ্যাম্পায়ার, ক্যান্ডেলা,মোল ইত্যাদি।
৫. অশ্বক্ষমতা কি?
উত্তর : এক অশ্বক্ষমতা = 746 watt.
৬. প্রসঙ্গ কাঠামো কি? [ জা. বি. ২০১২ ]
উত্তর : যে স্থানাংক ব্যবস্থার সাথে তুলনা করে বস্তুকণার অবস্থান তথা গতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রসঙ্গ বলা হয়।
৭. সমবেগ কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৮]
উত্তর : সমহার গতিসম্পন্ন কণার বেগকে সমবেগ বলে। অর্থাৎ সময়ের সাথে কোনো বস্তুকণার অবস্থান পরিবর্তনের হার অপরিবর্তিত থাকলে এর বেগকে সমবেগ বলে।
৮. তাৎক্ষণিক বেগ কি?
উত্তর : ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে সময়ের সাথে বস্তুকণার সরণের হারকে তাৎক্ষণিক বেগ বা বেগ বলা হয়।
৯. গতি জি?
উত্তর : সময়ের পরিবর্তনের সাথে কোনো বস্তুর স্থান পরিবর্তন করাকে গতি বলা হয় এবং ঐ বস্তুকে গতিশীল বস্তু বলে।
১০. দ্বিমাত্রিক গতি কি? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : যদি কোনো বস্তুর গতি কোনও নির্দিষ্ট তলে বিবেচনা করা হয় তাহলে তার গতিকে দ্বিমাত্রিক গতি বলা হয়। যেহেতু একটি তলে দুটি অক্ষ বিদ্যমান থাকে।
বলবিদ্যা অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন ২০২৫
১১. প্রাস কি? অথবা, প্রক্ষেপক কাকে বলে। অথবা, প্রক্ষেপণ বা প্রাস কি? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : কোনো বস্তুকে অনুভূমিকের সাথে তির্যক ভাবে কোনো স্থানে নিক্ষেপ করা হলে তাকে প্রক্ষেপক বা প্রাস বলে।
১২. কৌণিক ত্বরণের মাত্রা কি?
উত্তর : সময় ব্যবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে সময়ের সাথে বস্তুর কৌণিক বেগের পরিবর্তনের হারকে কৌণিক ত্বরণ বলে।
১৩. ব্যাসার্ধমুখী ত্বরণ কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৬]
উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার উপর যে ত্বরণ ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়া করে বস্তুকণাকে বৃত্তাকার পথে চালিত করে, তাকে কেন্দ্রীমূখী ত্বরণ বা অভিকেন্দ্র ত্বরণ বা ব্যাসার্ধমূখী ত্বরণ বলে।
১৪. জড়তা কি? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : পদার্থ যে অবস্থায় আছে, চিরকাল সেই অবস্থায়ই থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখার যে ধর্ম তাকে জড়তা বলা হয়।
১৫. স্থিতি জড়তা কি এবং এটি কিসের উপর নির্ভরশীল? [ জা. বি. ২০১০]
উত্তর : স্থির বস্তু সর্বদা স্থির থাকতে চায়, বস্তুর এই ধর্মকে স্থিতিজড়তা বলে। স্থিতি জড়তা বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল।
১৬. ঘাত বল কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৮] অথবা, ঘাত বলের সংজ্ঞা দাও। [ জা. বি. ২০১০,২০১৪]
উত্তর : খুব অল্প সময়ের জন্য ক্রিয়াশীল বৃহৎমানের বলকে ঘাত বল বলে।
১৭. বলের ঘাত কি? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : কোনে বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল বল এবং বলের ক্রিয়াকালের গুণফল কে বলের ঘাত বলা হয়।
১৮. নিউটনের গতির প্রথম সূত্র বিবৃত দাও।
উত্তর : বাইরে থেকে বল প্রযুক্ত না হলে স্থির বস্তু চিরকালই স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সমদ্রুতিতে সরল পথে চলবে।
১৯. কাজ কি?
উত্তর : বল ও বলের দিকে সরণের উপাংশ গুণফলকে কাজ বলে।
২০. 1 জুল বলতে কি বুঝ? [ জা. বি. ২০১২]
উত্তর : কোনো বস্তুর উপর এক নিউটন বলের ক্রিয়ার বলের ক্রিয়া রেখা বরাবর বস্তুর সরণ এক মিটার হলে সম্পন্ন কাজের পরিমাণ কে এক জুল বলে। 1J = 1 N * 1 m.
বলবিদ্যা অনার্স ১ম বর্ষ pdf ফাইল ডাউনলোড করার জন্য নিচে ANSWER SHEET ক্লিক করুন।
২১. শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটু বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে কেই শক্তি বলে।
২২. স্প্রিং বল কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৬]
উত্তর : একটি স্প্রিং কে টেনে প্রসারিত করলে বা চেপে ধরে সংকুচিত করলে স্প্রিং এর অভ্যন্তরে প্রতিক্রিয়া বলের সৃষ্টি হয়। এ প্রতিক্রিয়া বলকেই স্প্রিং বল বলে।
২৩. সংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
উত্তর : কেনো কণা একটি পূর্ণ চক্র সম্পন্ন করে তার আদি অবস্থানে ফিরে আসলে কণাটির উপর বল দ্বারা সম্পাদিত কাজের পরিমাণ শূন্য হলে সেই বলকে সংরক্ষণ শীল বল বলে।
২৪. ভরকেন্দ্র কি? [ জা. বি. ২০১০]
উত্তর : কোনো বস্তুর সমস্ত ভর যে বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ধরা যায় তাকে ভরকেন্দ্র বল বলে।
২৫. ক্ষমতা কি?
উত্তর : কজ সম্পাদনকারী কোনো ব্যাক্তি বা যন্ত্রের কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলা হয়।
২৬. কেন শর্ত কেন্দ্রমুখী বলের প্রক্রিয়া কাজের পরিমাণ শূন্য হয়? [ জা. বি. ২০১০]
উত্তর : কেন্দ্রমুখী বল সরণের দিকের সাথে সমকোণ ক্রিয়াশীল হয় বলে কেন্দ্রীমুখী বলের ক্রিয়ার কাজের পরিমাণ শূন্য হয়।
২৭. কণা সিষ্টেমের রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র লিখ। [ জা. বি. ২০১০]
উত্তর : কেনো গতিশীল কণা সিষ্টেমের উপর প্রযুক্ত বহিঃস্থ বল শূন্য হলে কণা সিষ্টেমের রৈখিক ভরবেগ সংরক্ষিত হবে। ইহা কণা সিষ্টেমের রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র বা নিত্যতার সূত্র।
২৮. ভর-ভ্রামক কাকে বল? [ জা. বি. ২০১২,২০১৩,২০১৬,২০১৮]
উত্তর : কোনো বস্তুর ভর এবং কোনো বিন্দু বা অক্ষের সাপেক্ষে ঐ ভরের অবস্থান ভেক্টরের গুণফলকে ঐ বিন্দু বা অক্ষের সাপেক্ষে উক্ত ভরের ভর-ভ্রামক বলে।
২৯. বল ধ্রুব বা স্প্রিং ধ্রুবক কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৪,২০১৯]
উত্তর : অনুভূমিক বরাবর একটি স্প্রিং কে বিকৃত করলে স্থিতিস্থাপক ধর্মের দরুন প্রযুক্ত বলের বিপরীতে স্প্রিং -এ প্রত্যয়নী বলের উদ্ভব হয়। স্প্রিং এর একক পরিমান দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির জন যে প্রত্যয়নী বলের উদ্ভব হয় তাকে বল ধ্রুব বা স্প্রিং ধ্রুবক বলে।
৩০. স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে? [ জা. বি. ২০১৫]
উত্তর : যে ধর্মের দরুন কোনো বিকৃত বস্তু প্রযুক্ত বল অপসারণ করার পূর্বের অবস্থান ফিরে আসে তাকে এর স্থিতিস্থাপকতা বলে।
বলবিদ্যা প্রথম খন্ড অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন গুলো অফলাইনে পড়ার জন্য পোস্টের নিচেই ক্লিক করুন ANSWER SHEET। তাহলেই ডাউনলোড হয়ে যাবে PDF।
৩১. স্থতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে? অথবা, স্থতিস্থাপক সংঘর্ষ কি? [ জা. বি. ২০১৮,২০১১,২০১৪,২০১৬]
উত্তর : দইটি বস্তুকণার মধ্যে সংঘর্ষের ফলে যদি পূর্বের ও সংঘর্ষের পরের গতিশক্তি একই থাকে,তবে তাকেই স্থতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে। কোনো গ্যাস অনুসমূহের সংঘর্ষ স্থতিস্থাপক সংঘর্ষ।
৩২. সংঘর্ষ কাকে বলে?
উত্তর : বৃহৎ মানের কোনো বল অতিক্ষুদ্র সময় কোনো বস্তু কণার উপর হঠাৎ ক্রিয়া করে এর গতির ব্যাপক পরিবর্তন করার ঘটনাকে সংঘর্ষ বলে।
৩৩. সংঘর্ষ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : সংঘর্ষ দুই প্রকার যথা- (ক) স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ (খ) অস্থতিস্থাপক সংঘর্ষ।
৩৪. স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি কী? [ জা. বি. ২০১৯]
উত্তর : সীমার মধ্যে ও কোনো বস্তুতে বা তার পীড়নের হ্রাস বৃদ্ধি করলে বস্তুর স্থিতিস্থাপক ধর্মের অবনতি ঘটে। তখন অসহ ভার অপেক্ষা কম ভারে তারটি বা বস্তুটি ছিড়ে যেতে পারে। বস্তু বা তারের এ অবস্থা কে স্থতিস্থাপক ক্লান্তি বলে।
আজকের সেশন ছিল অনার্স প্রথম বর্ষ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ। বলবিদ্যা প্রথম খন্ড অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন- ১ : ৩৪ টি সংকিপ্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাজেশন দেওয়া হলো।
বলবিদ্যা প্রথম খন্ড অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন গুলো অফলাইনে পড়ার জন্য পোস্টের নিচেই ক্লিক করুন ANSWER SHEET। তাহলেই ডাউনলোড হয়ে যাবে PDF।
সকল বিষয়ের নির্দেশিকা পেতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যা হলে আমাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ ইনবক্স করুন।
প্রিয় শিক্ষার্থিরা অন্যান্য সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে আমাদের YOUTUBE চ্যানেল দ্রুত Subscribe করো।
ইতিমধ্যে সকল বিষয় নিয়ে সাজেশন দেওয়া হয়েছে। আরো নতুন কিছু আপডেট পেতে চোখ রাখুন (ERIN) ধন্যবাদ।