ইউরোপ মহাদেশ

ইউরোপ মহাদেশ।বিস্তারিত জানুন ।

ইউরোপ মহাদেশ  উত্তর গোলার্ধে  অবস্থিত। আয়তনের দিক দিয়ে ৩য়।

ইউরোপ একটি মহাদেশ যা বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পশ্চিমের উপদ্বীপ  নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে ইউরাল ও ককেশাস পর্বতমালা,ইউরাল নদী, ক্যাস্পিয়ান এবং কৃষ্ণসাগরের জলবিভাজিকা এবং কৃষ্ণ ও এজিয়ান সাগর সংযোগকারী জলপথ ইউরোপকে এশিয়া মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে।

জনসংখ্যাঃ৭৪৬.৪ মিলিয়ন (২০১৮)

দেশসমূহ ঃ ৫০টি(এবং ৬ টি আংশিকভাবে স্বীকৃত) 

সময় অঞ্চল সমূহঃ ইউটিসি থেকে ইউটিসি +

জনঘনত্ব ঃ৭২.৯কিলো মিটার (প্রায়১৮৮/,বর্গমাইল)

ইউরোপের দীর্ঘতম নদী হচ্ছে ভলগা ও বৃহত্তম সাগর ভূমধ্যসাগর। 

ইউরোপ মহাদেশের সবথেকে বড় দেশ রাশিয়াও  ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি। ইউরোপের দার বলা হয় ভিয়েনাকে।ইউরোপের 50 টি দেশের নাম হচ্ছে 

আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা,বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস,চেকপ্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ইস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, জর্জিয়া, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি , কাজাখস্তান, লাতভিয়া,লুক্সেমবুর্গ, মালটা, লিস্টেনস্টাইন, ম্যাসেডোনিয়া, মলদোভা, মোনাকো, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া,  সান মারিনো, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, সুইডেন, স্পেন, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ভ্যাটিকান সিটি। 


ইউরোপীয় ইউনিয়ন  ইউরোপ মহাদেশের অধিকাংশ দেশের   একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট। এর  অধীনে অভিন্ন মুদ্রা, ইউরোপীয় সংসদ, ইত্যাদি অনেক বিষয় রয়েছে।  বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা রাষ্ট্র  ২৭।ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর  লন্ডনে অবস্থিত।  ইউরোপীয় ইউনিয়ন মূলত ইউরোপে শান্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি  আনানের লক্ষ্যে গঠিত। 


ইউরোপের ইতিহাস বলতে বোঝা যায়, 

প্রাচীন গ্রিক পুরাণ মতে ইউরোপা নামে একজন ফিনিশীয় রাজকুমারী ছিল।  জিউস ছিল তার রূপে মুগ্ধ। একদিন জিউস একটি উজ্জ্বল সাদা ষাঁড়ের রূপ ধারণ  করে ইউরোপাকে প্রতারণামূলকভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর জিউস তাকে ট্রিট দিবে নিয়ে বিয়ে করে। সেখানে তাদের মিনস,রাদামনতুস ও সার্পেদন নামের তিনটি শিশু জন্ম নেয়। কথিত হয় জিউসের স্ত্রী ইউরোপার নামে এ ইউরোপ মহাদেশের নাম হয়।

 প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইউরোপে  বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর ইতিহাস কে ইউরোপের ইতিহাস  বোঝায়। মধ্যযুগ হলো ইউরোপীয় ইতিহাসে একটি সময়কাল। এটি৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয়েছে,যে সময়ে রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটেছিল, এবং ১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নব জগত আবিষ্কারের পূর্বপশ্চিম পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। 

ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো  এবং এটি চালু হয় ১জানুয়ারি, ১৯৯৯ হতে।১ ইউরো সমান ১০০.৯৭ বাংলাদেশী টাকা। 

ধর্মের দিক দিয়ে ৭১.% খ্রিষ্টান, ২৪% কোনো ধর্মেবিশ্বাসী নয়।১.% মুসলিম, .% অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী।

নিচের বিষয়গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন

সেনজেন কাকে বলে ? বিস্তারিত জানুন 

 ►পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে যে সকল দেশ |

►►আয়ারল্যান্ড দেশ – সকল তথ্য সমূহ

►►ফিজি দেশ

►►আজারবাইজান দেশ -সকল তথ্য সমূহ

ইউরোপের বৃহত্তম দেশ

ইউরোপের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া (মোট মহাদেশের অঞ্চলের 37%)।

ইউরোপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক তথ্য

ইউরোপ তিনদিকেই জলাশয় দ্বারা বেষ্টিত- উত্তরে আর্টিক মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর
এটি এশিয়া থেকে ক্যাস্পিয়ান সাগর এবং ইউরাল পর্বত দ্বারা পৃথক করা হয়েছে
নরওয়ে, সুইডেন, আইসল্যান্ড এবং ডেনমার্ক একসাথে ‘স্ক্যান্ডিনেভিয়া’ নামে পরিচিত
মাত্র ৪,০০,০০০ বর্গমাইলের স্থলভূমি সহ, ইউরোপ অস্ট্রেলিয়ার ঠিক পিছনে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ ent
মাউন্ট এলব্রাস ইউরোপের সর্বোচ্চ শিখর
ফিনল্যান্ডকে ‘হ্রদের ভূমি’ বলা হয় কারণ বরফের শীট গলে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি হ্রদ তৈরি হয়
স্পেন এবং পর্তুগাল মিলে ‘আইবেরিয়া’ গঠন করে
কৃষ্ণ সাগর এবং ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত যুগোস্লাভিয়া, গ্রীস, রোমানিয়া এবং আলবেনিয়া ‘বালকান রাজ্য’ বলা হয়
লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া একসাথে ‘বাল্টিক রাজ্য’ বলা হয় ।

ইউরোপের প্রধান নদী
ড্যানুব, ডেনিপার, ডন, এলবে, লোয়ার, ওদার, পো, রাইন, রোন, শ্যানন, টেগাস এবং ভোলগা।

ইউরোপের মেজর মালভূমি
আইবেরিয়ান মালভূমি, ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় মালভূমি, জার্মানির ভোসেজ এবং ব্ল্যাক ফরেস্ট (ব্ল্যাক মাউন্টেন) এবং বোহেমিয়ান মালভূমি।

ইউরোপের প্রধান পর্বতশ্রেণী
ক্যান্টাব্রিয়ান, পাইরেিনিস, অ্যাপেনিনিস, ডিনারিক আল্পস, কার্পাথিয়ান, কোজোলেন এবং বালকান রেঞ্জ।

ইউরোপের প্রধান উপদ্বীপ
এর প্রধান উপদ্বীপে জুটল্যান্ড এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান, আইবেরিয়ান, ইতালিয়ান এবং বালকান উপদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইউরোপের বৃহত্তমতম দ্বীপপুঞ্জ
ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ এবং দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে রয়েছে নোভায়ে জেমলিয়া, ফ্রাঞ্জ জোসেফ ল্যান্ড, সোভালবার্ড, আইসল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, বালিয়েরিক দ্বীপপুঞ্জ, কর্সিকা, সার্ডিনিয়া, সিসিলি, মাল্টা, ক্রিট এবং সাইপ্রাস।

আমাদের YouTube চ্যানেলটি ভিজিট করে আসতে পারেন এই লিংক থেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *