HSC বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কবিতা । HSC -2025. আজকের আলোচনা হলো বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন সাহিত্য পাঠ বইয়ের কবিতা। প্রতিটি কবিতার জন্য পৃথক সাজেশন দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে। শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা হবে ২০২৫ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের। সবগুলো কবিতার চূড়ান্ত সাজেশন হল এটি। এই ব্লগ টি তাদের জন্যও এবং সম্পূর্ণ সিলেবাসের শিক্ষার্থীদের জন্যেও । তাই সকলেই এটি পড়তে পারবেন পরীক্ষার পূর্বে অনুশীলন হিসেবে। সকল বোর্ড প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে এই ব্লগটি বানানো হয়েছে আপনাদের একটু উপকারের সার্থে। ব্লগটির নিচে পিডিএফ এড করে দেওয়া হয়েছে অফলাইনেও পড়তে পারবেন পিডিএফ টি ডাউনলোড করলে। শর্ট সিলেবাস কে ফলো করা হয়েছে । একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান। চলুন শুরু করি প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও সাজেশন। নিচে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো :
HSC বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন কবিতা
১. পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের –
কখনই ভয় করিনিকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।
শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
অস্ত্রেও শাণ দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ ;
একই হাসি মুখে বাজিয়েছে বাঁশি, গলায় পড়েছি ফাঁস
আপস করিনি কখনোই আমি —এই হলো ইতিহাস।
ক। জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কি?
খ। “তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল” —ব্যাখ্যা কর।
গ। উদ্দীপকের ইতিহাস প্রসঙ্গে এবং ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঐতিহ্যচেতনার সাদৃশ্য নির্দেশ কর।
ঘ। ঊদ্দীপকটি ‘প্রতিফলিত সংগ্রামী চেতনা যেন ‘ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? ব্যাখ্যা কর।
২. ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ
আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে,
আজকে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।
ক। ছাড়পত্র কাব্য গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়েছে?
খ। কবি কেন যৌবন শক্তির জয়গান করেছেন?
গ। উদ্দীপকে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় বর্ণিত বিষয়ের আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে — আলোচনা কর।
ঘ। ‘ আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় এবং উদ্দীপকে মূলত তারুণ্যেরই জায়গান গাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তোমার মতামতে আলোচনা কর।
৩. অকালে বাবাকে হারিয়ে আবিদের মন ভীষণ খারাপ। বন্ধু বাতেন এসে বলল,” তুমি তো ঘরতে খুব পছন্দ কর, চলো নৌকায় কোথাও ঘুরে আসি। শরতের শুভ্র জ্যোৎস্নায় দু’ধারে কাশবন,মৃদু বাতাসে নৌকায় দোলা– তোমার মন ভালো হয়ে যাবে। জবাবে আবিদ বললো “নির্মল জলে রুপালি চাঁদ কোনো কিছুতে আর মন নেই বন্ধু। আমার সব ভালো লাগা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।
ক। “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতায় কবির নিরবতার কারণ কী?
খ। “ পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে” বলতে কী বোঝায়?
গ। উদ্দীপকের বাতেন “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতার কার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? আলোচনা কর।
ঘ। আবিদের জবাবে “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতার মূল বক্তব্যই প্রতিধ্বনি হয়েছে” উক্তি টি আলোচনা কর।
৪. দেখিনু সে দিন রেলে
কুলি বাবু সাব
তারে ঠেলে দিলে নিচে ফেলে। সূত্র : কুলি মজুর
ক। প্রতিদান কবিতা টি কে লিখেছেন? বা প্রতিদান অর্থ কি?
খ। প্রতিদান বলতে কি বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ। উদ্দীপকের এর সাথে প্রতিদান কবিতার কতটুকু বৈসাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ। ঊদ্দীপকটি ‘প্রতিদান’ কবিতায় সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? ব্যাখ্যা কর।
HSC বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কবিতা উত্তরমালা
১. উত্তর :
(ক) কবিতা।
(খ) তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কথাটি দ্বারা বিদেশি শাসক দ্বারা কবির পূর্ব পুরুষ দের নির্যাতিত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতায় কবি বিদেশি শত্রু – শাসকদের তার পূর্ব পুরুষদের দাসত্বের যন্ত্রণা, শরীরের আঘাতের ক্ষতচিহ্ন এবং তা থেকে উত্তরণের চেতনা তুলে ধরেছেন।
(গ) উদ্দীপকের ইতিহাস প্রসঙ্গে এবং আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঐতিহ্য চেতনার মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে কোনো জাতি তার অতীত সম্পর্কে জানতে পারে। উদ্দীপকের বাঙালির আত্মপরিচয় দিকটি তুলে ধরেছেন। এতে বাঙালির সংগ্রামী ইতিহাস যেমন আছে তেমনি বাঙালির ফসল ফলানোর নিষ্ঠা, বাঁশি বাজানোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং হাসিমুখে স্বদেশের জন্য প্রাণদানের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
(ঘ) উদ্দীপকে প্রতিফলিত সংগ্রামী চেতনা যেন আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ভাবসত্যের সংহত রূপ। “ মন্তব্য টি যথার্থ। বাঙালি বহু ঘাত -প্রতিঘাত পার হয়ে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে। তাঁরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির ঐক্যসাধন করে মুক্তির পথে এগিয়েছে এবং শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতায় ঐতিহ্য সচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির কথা বলা হয়েছে। এতে বাঙালি ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রামী চেতনা নির্দেশ কবি তাঁর পূর্ব পুরুষ দের ওপর শোষকদের অত্যাচার- নির্যাতনের কথা বলেছেন। বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে যে ইতিহাস লিখেছে তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন।
২. উত্তর:
(ক) ছাড়পত্র কাব্য গ্রন্থটি ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
(খ) কবি তারুণ্যের কল্যাণধর্মী কর্মকাণ্ডের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার কারণে যৌবন শক্তির জয়গান করেছেন।
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি তারুণ্যের ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। এই বয়সী তরুণরা সবচেয়ে বেশি দুঃসাহসী হয়। তারা সবচেয়ে বেশি আঘাত সহ্য করতে পারে এবং তা প্রতিহত করতেও জানে। তরুণদের যৌবনে হৃদয়ে আবেগ আসে। সেই আবেগে ভর করে তারা মানব কল্যাণে অগ্রসর হয়।
(গ) উদ্দীপকে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় বর্ণিত বিষয়ের আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে উক্তিটি যথার্থ। মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় আঠারো বছর বয়স। এই বয়সে মানুষ আত্মশক্তি অর্জন করে, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে শেখে। পৃথিবীকে সুন্দর ও উন্নত করতে পৃথিবীর ইতিবাচক পরিবর্তনের যথার্থ কর্ম তৎপরতা এই বয়সেই শুরু হয়। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি নবীনের কাছে তাঁর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। কবি নবীন ও সবুজদের কল্যাণকর কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাই তিনি তাদেরকে আধ- মরাদের ঘা মেরে বাঁচানোর কথা বলেছেন। উদ্দীপকের কবির প্রত্যাশা ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় এদেশের বুকে আঠারো নেমে আসুক চরণটির সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ। তবে এই বিষয়টি ছড়াও আলোচ্য কবিতায় আরও বলা হয়েছে আঠারো বছর বয়সেই মানুষ আত্ন প্রত্যয়ী হয়ে আত্মনির্ভরতা অর্জন করে এবং সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সত্য ও সুন্দর সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা।
(ঘ) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় এবং উদ্দীপকে মূলত তারুণ্যেরই জয়গান গাওয়া হয়েছে মন্তব্য টি যৌক্তিক তারুণ্যের শক্তি কোনো বাধা মানে না। তরুণরা দেহ ও মনের অস্থিরতা, জরাজীর্ণতা অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায়। তারা দুর্লঙ্ঘ পর্বত,সীমাহীন বিপদ সংকুল সাগর পথ পার হয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তারুণ্যের শক্তি দুর্বার এগিয়ে চলার বিষয় বর্ণিত হয়েছে। যৌবনের উদ্দীপনা, সাহিকতা, ঝুকি নেওয়ায় মানসিকতা এবং কল্যান ব্রত রয়েছে এই বয়সের মধ্যে। এই বয়সেই তরুণরা ভালো-মন্দ, ইতিবাচক -নেতিবাচক নানা তত্ত্ব, মতবাদ, ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে।‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি সমস্ত দুর্যোগ -দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণ শক্তি সম্পন্ন আঠারো বছর বয়সী তরুণদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
৩. উত্তর :
(ক) “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতায় কবির নীরবতার কারণ প্রিয়জন হারানোর শোক ও গভীর বেদনাবোধ।
(খ) “পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে” কথাটি দিয়ে কবি তাঁর প্রিয়জন হারানোর শোকে হৃদয়ের শূন্যতাকে শীত প্রকৃতির রিক্ততার সাথে তুলনা করেছেন। শীত ঋতু প্রকৃতিকে শূন্য করে তোলে। গাছের পাতা ঝরে যায়। গাছ হয়ে পড়ে পত্র পুষ্পহীন। কবির জীবনও শীতের মতোই রিক্ত হয়ে গেছে। কারণ তাঁর জীবন থেকে প্রিয়তম স্বামী চিরতরে হারিয়ে গেছেন।
(গ) উদ্দীপকের বাতেন “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতার কবি ভক্তদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
(ঘ) আবিদের জবাবে “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতার মূল বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হয়েছে –উক্তিটি যাথার্থ।
৪. উত্তর :
(ক) প্রতিদান কবিতা টি লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। প্রতিদান অর্থ হলো প্রতিসেবা।
(খ) প্রতিদান বলতে বোঝায় কোনো প্রাপ্তির পর তা ফিরিয়ে দেওয়া বা তার সম্মানার্থে কিছু করা। সমাজে পারস্পরিক সহযোগিতার এবং দানের গুরুত্ব প্রতিদানের মাধ্যমে বোঝানো হয়।
যখন কেউ সাহায্য বা উপকার করে তখন তার প্রতিদান দেওয়া
বা তার সম্মানার্থে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করা।
(গ) উদ্দীপকের সাথে বাবু চরিত্রের কিছু টা সাদৃশ্য রয়েছে।
(ঘ) প্রথমে উদ্দীপক পড়ে মূলভাবটা বুঝতে হবে তারপর আলোচনা করতে হবে এটি।
উপরে ৪ টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হলো। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কবিতা সেভ রাখার জন্য PDF Download করে রাখুন। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কবিতা সেভ রাখার জন্য ANSWER SHEET ক্লিক করে PDF Download করে রাখুন।
সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে ওয়েবসাইটে ফলো করুন। সকল বিষয়ের নির্দেশিকা পেতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন কোনো সমস্যা হলে আমাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ ইনবক্স করুন।
প্রিয় শিক্ষার্থিরা অন্যান্য সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে আমাদের YOUTUBE চ্যানেল দ্রুত Subscribe করো।
ইতিমধ্যে সকল বিষয় নিয়ে সাজেশন দেওয়া হয়েছে। আরো নতুন কিছু আপডেট পেতে চোখ রাখুন (ERIN) ধন্যবাদ।